ইউক্রেনীয় সেনাদের হামলায় পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে রুশ বাহিনীর তিনটি এলিট ব্রিগেড। এই ব্রিগেডগুলো দোনেৎস্ক অঞ্চলে মোতায়েন ছিল বলে দাবি করেছেন ইউক্রেনের স্থল বাহিনীর জেনারেল ইন কমান্ড জেনারেল ওলেক্সান্ডার স্রাস্কি। সোমবার তিনি টেলিগ্রামের মাধ্যে এই তথ্য নিশ্চিত করেন। খবর আলজাজিরার। তিনি জানান, তাদের সেনারা ক্লিচচিভকা এবং আন্দ্রিভকা গ্রাম দখল করেছে। বিধ্বস্ত শহর বাখমুতের কাছে অবস্থিত এ গ্রাম দুটি কৌশলগতভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই দুই অঞ্চল তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ব্রেকথ্রু ছিল। আরও পড়ুন: বাখমুতের গ্রাম পুনরুদ্ধার, সেনাদের প্রশংসায় জেলেনস্কি বিবৃতিতে ওলেক্সান্ডার বলেন, ‘বাখমুত সেকশনের লড়াইয়ে, শত্রুদের কিছু সেরা ইউনিট বিধ্বস্ত হয়েছে এবং সম্পূর্ণভাবে যুদ্ধ করার ক্ষমতা হারিয়েছে।’ ইউক্রেনীয় এ কমান্ডার যেসব ইউনিটের কথা বলছেন সেগুলো হলো— ৭২তম মোটর রাইফেল ব্রিগেড, ৩১তম ও ৮৩তম এয়ার অ্যাসাল্ট ব্রিগেড। এ দুটি গ্রাম দখল করা সেনাদের প্রশংসা করে জেনারেল স্রাস্কি জানান, তাদের সেনারা সামনে অগ্রসর হচ্ছে এবং কিছু জায়গায় রাশিয়ার প্রতিরক্ষা ভেদ করছে। তবে তিনি সঙ্গে আরও জানান, ইউক্রেনীয় বাহিনীর দখলকৃত এসব অঞ্চল পুনর্দখল করতে বিভিন্ন দিক থেকে পালটা হামলা চালাচ্ছে রুশ বাহিনী। চলতি বছরের মে মাসে প্রায় ১০ মাস যুদ্ধ করে বাখমুত শহর দখল করেছিল ভাড়াটে সেনাবাহিনী ওয়াগনার গ্রুপ ও রুশ সেনারা। কিন্তু দখলকৃতস্থানে অবস্থান দৃঢ় করার আগেই পালটা হামলা চালিয়ে সেগুলোর কিছু অংশ পুনর্দখল করে নিয়েছে কিয়েভের সেনারা। তবে গত শনিবার আন্দ্রিভকা গ্রামটি হারানোর দাবি অস্বীকার করেছে রাশিয়া। তবে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিষয়ক পর্যবেক্ষক সংস্থা আইএসডব্লিউ জানিয়েছে, ইউক্রেন বাখমুতের দিকে যে সাফল্য পাওয়ার দাবি করছে, সেটি ইঙ্গিত দিচ্ছে এদিকটায় অনেক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে রাশিয়া। সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, ওই অঞ্চলে ইউক্রেনীয় সেনাদের পিছু হটাতে অভিযান চালিয়েছিল রাশিয়ার এয়ারবোর্ন ইউনিট। আর এ অভিযানে তারা বিধ্বস্ত হয়েছে।