বাংলাদেশের মিঠা পানির মাছ আমদানি করতে চায় ভারত

প্রকাশিতঃ সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৩ | ৮:০৭ অপরাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেক্স

মাছের ব্যাপক চাহিদা থাকলেও পর্যাপ্ত জোগান নেই ভারতে। এমন অবস্থায় শুধু ইলিশ নয়, বাংলাদেশ থেকে মিঠা পানির মাছও আমদানি করতে চায় ভারতের ব্যবসায়ীরা। বুধবার বাংলাদেশ থেকে মিঠা পানির মাছ আমদানির উদ্দেশ্যে পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার মাহাদিপুর সীমান্ত এলাকায় বৈঠক করেন ভারত ও বাংলাদেশের আমদানি ও রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীরা। বৈঠকের পর দুই দেশের ব্যবসায়ীরা জানান, বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। দুই দেশের অনুমোদন পেলে শিগগিরই শুরু হবে আমদানি-রপ্তানি। বাঙালির খাবার পাতে অন্যতম প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ মাছ। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছে পর্যাপ্ত জোগানের ঘাটতি। ফলে তরতরিয়ে বাড়ছে দাম। এমন অবস্থায় দামের লাগাম টেনে ধরতে বাংলাদেশের মৎস্যজীবীদের শরণাপন্ন হয়েছেন ভারতের ব্যবসায়ীরা। গত আগস্ট মাসে ভারতের ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করেন। এর পরেই ভারতীয় ব্যবসায়ীদের আমন্ত্রণে দ্বিতীয় ধাপে ভারত সফর গেছেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা। পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার মাহাদিপুর সীমান্তের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বুধবার দীর্ঘ বৈঠকে বসেন তারা। বৈঠক শেষে রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট মাসুদুর রহমান জানান, সম্প্রতি বাংলাদেশে মিষ্টি পানির মাছের উৎপাদন ব্যাপকভাবে বেড়েছে। প্রায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন মিঠা পানির উদ্বৃত্ত থেকে যাচ্ছে বাংলাদেশের। যে মাছ প্রতিবেশী ভারতে এবং বিবিআইএন চুক্তির মাধ্যমে নেপাল এবং ভুটানে রপ্তানির জন্য আমরা বাংলাদেশ সরকারের অনুমতি চেয়েছি। আমরা ভারতে এসেছি নতুন ব্যবসায়িক সম্ভাবনার খোঁজে। মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অব কর্মাসের সভাপতি জয়ন্ত কুন্ডু জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে এমন বৈঠক অত্যন্ত জরুরি ছিল। বাংলাদেশ থেকে মিঠা পানির মাছ আমদানির জন্য আমাদের রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের কিছু অনুমতির প্রয়োজন। সেজন্য আমরাও আবেদন জানিয়েছি। আশা করি খুব শিগগিরই অনুমতি পেয়ে যাব। জয়ন্ত কুন্ডুর দাবি, বেনাপোল বা হিলি হয়ে মাছ ভারতে এলেও তা কলকাতা এবং শিলিগুড়ি থেকে খুব বেশি দূরের জেলার বাজারগুলোতে প্রভাব ফেলতে পারে না। অন্যদিকে বাংলাদেশের রাজশাহীর সোনামসজিদ ও মালদার মাদারীপুর সীমান্ত পশ্চিমবঙ্গের একেবারে মধ্যবর্তী এলাকায়। যেখানে বরিশাল থেকে মাত্র ১০ ঘণ্টায় এবং রাজশাহী থেকে মাত্র ৪ ঘণ্টার কম সময়ে মাছ আমদানি করা সম্ভব এবং তা খুব কম খরচেই পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলোর বাজারে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব। ফলে কম দানে ওপার বাংলার তাজা মাছ পৌঁছাবে এপার বাংলার বাঙালির পাতে।