পাকিস্তানে সচল হচ্ছে হাইপ্রোফাইল রাজনীতিকদের দুর্নীতির মামলা

প্রকাশিতঃ সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৩ | ১০:৩৯ অপরাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেক্স

পাকিস্তানে হাইপ্রোফাইল রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা নতুন করে সচল হচ্ছে। সুপ্রিমকোর্টের সাম্প্রতিক আদেশের ভিত্তিতে জাতীয় জবাবদিহিতা বিষয়ক ব্যুরো (এনএবি) এ উদ্যোগ নিয়েছে। এজন্য তারা এনএবির আদালতের রেজিস্ট্রারকে চিঠি লিখেছে। আগামী দুদিনের মধ্যে মামলাগুলোর রেকর্ড আদালতের কাছে জমা দেবে এনএবি। অনলাইন জিও নিউজের খবর। এতে বলা হয়, ১৫ সেপ্টেম্বর সুপ্রিমকোর্টের তিন বিচারকের বেঞ্চ ২-১ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ দলের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের আবেদনের পক্ষে রায় দেন। সদ্যবিদায়ী পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (পিডিএম) নেতৃত্বাধীন সরকারের সময়ে এনএবির আইন সংশোধন করা হয়েছিল। সেই সংশোধনীর অধীনে রাজনৈতিক নেতা এবং সরকারি কর্মকর্তা, যাদের ৫০ কোটি রুপির কম দুর্নীতি আছে, তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। ফলে তারা ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। কিন্তু সংশোধনীকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ইমরান খান আপিল করেন সুপ্রিমকোর্টে। এ আবেদনের ওপর শুনানি হয় সদ্যবিদায়ী প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়ালের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারকের বেঞ্চ। তারা ২-১ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় দুর্নীতির এ মামলাগুলো সচল করার নির্দেশ দেন। সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির দুর্নীতিবিরোধী প্রতিষ্ঠান এনএবি নিজেদের কোর্টের রেজিস্ট্রারকে চিঠি লিখেছে। রাজধানীতে অবস্থিত এই কোর্ট। ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা কিভাবে এগোবে তা নিয়ে পরামর্শের জন্য গত সপ্তাহে পরামর্শ সভা আহ্বান করেন এনএবির চেয়ারম্যান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) নাজির আহমেদ ভাট। আগামী দুদিনের মধ্যে শুনানি শুরুর জন্য আদালতে সব মামলার রেকর্ড জমা দিতে পারে এনএবি। ফলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ, ইউসুফ রাজা গিলানি, রাজা পারভেজ আশরাফ, শেহবাজ শরীফ, শাহিদ খাকান আব্বাস, সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি, পাঞ্জাব ও সিন্ধুর মুখ্যমন্ত্রীদ্বয়, কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক কয়েক ডজন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা সচল হতে পারে। সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে জিও নিউজ বলছে, যেসব মামলা আগেভাগে ক্লোজ করে দেওয়া হয়েছিল, তার আইনগত ভিত্তি যাচাই করে দেখবে এনএবি। যাচাই করে দেখবে এর তদন্ত ও অনুসন্ধানের বিষয়। সব মামলার ডাটা পাঠিয়ে কেন্দ্রকে সহায়তা করছে এনএবির রাওয়ালপিন্ডি, লাহোর, মুলতান, সুক্কুর, করাচি, পেশোয়ার এবং কোয়েটার আঞ্চলিক অফিসগুলো। এসব ডাটাই এনএবি কোর্টের কাছে উত্থাপন করা হবে। সূত্র বলেছে, আসিফ আলি জারদারির ভুয়া অ্যাকাউন্টের মামলা এবং আশরাফের বিরুদ্ধে রেন্টাল পাওয়ার প্লান্টের মামলা এরই মধ্যে সচল করা হয়েছে। আসিফ আলি জারদারি, নওয়াজ শরীফ এবং ইউসুফ রাজা গিলানির বিরুদ্ধে তোশাখানার গাড়ি বিষয়ক মামলা আবার তদন্ত করে দেখা হবে। আইনি এসব জটিলতায় আরও যারা পড়তে পারেন তারা হলেন সিন্ধুর মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলি শাহ, সাবেক অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল, কেন্দ্রে সাবেক অর্থমন্ত্রী সিনেটর ইসহাক দার প্রমুখ।