জিয়াউর রহমানকে ‘খুনি’ আখ্যায়িত করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘তার সময় গুম, খুন বিনা বিচারে হত্যা শুরু হয়। তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে দেশে খুনের রাজনীতি শুরু করে। প্রধানমন্ত্রীকে (শেখ হাসিনা) ২১ বার হত্যা করার পরিকল্পনা করেছিল।’ ‘মায়ের কান্না’ সংগঠনের উদ্যোগে শুক্রবার বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে রংপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যাকারী ‘জিয়ার গুম-খুন ও খালেদা জিয়ার অগ্নিসন্ত্রাসের ভুলষ্ঠিত মানবাধিকার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, ট্রুথ কমিশন গঠন করে বঙ্গবন্ধুসহ জাতীয় চার নেতা এবং ১৯৭৭ সালে সেনা ও বিমান বাহিনীর গর্বিত সৈনিকদের হত্যাকারীদের মরণোত্তর বিচারের দাবি জানান। এ ছাড়া অবৈধ গুম ও খুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সরকারকে আহ্বান জানান। মোজাম্মেল বলেন, কিছু দেশ আমাদের মানবতা ও মানবাধিকারের কথা বলে। কিন্তু ১৯৭৫ বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল, তখন কোথায় ছিল মানবতা? সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা নাহিদ এজাহার খান এমপির সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন রংপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক, একুশের পদপ্রাপ্ত মানবাধিকারকর্মী এসএম আব্রাহাম লিংকন, বীর মুক্তিযোদ্ধা এসপি মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ। এছাড়াও ভুক্তভোগীর ছেলেমেয়ে, মা-বাবা এবং ভুক্তভোগীরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভার পূর্বে ‘গণদাবি-৭৭’ এবং ‘অগ্নিসন্ত্রাসের আর্তনাদ’ নামের দুটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। পরে বক্তারা তাদের বক্তব্যে উল্লেখ করেন যে, ১৯৭৭ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হাজার হাজার সেনা ও বিমান বাহিনীর সদস্যকে হত্যা করে তাদের লাশ গুম করেন। বক্তারা ‘অন্যায়ভাবে ফাঁসি, কারাদণ্ড ও চাকরিচ্যুত করার অপরাধে খুনি জেনারেল জিয়ার মরণোত্তর’ বিচারের দাবি জানান। গুম, খুন ও অগ্নিসন্ত্রাসকারী দল যাতে আগামীতে আর কখনো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তারা।