ফ্রান্সে অবস্থিত বাংলাদেশিদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতে হচ্ছে। আগামী বছর ২১ ফেব্রুয়ারিতে স্থায়ী শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন তারা। প্যারিসের বিখ্যাত সেইন্ট ডেনিস ইউনিভার্সিটির বার্নার্ড মারি স্কয়ারে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের আদলে এটি নির্মিত হয়েছে। জানা গেছে, দেশি-বিদেশি আমন্ত্রিত অতিথিদের উপস্থিতিতে আগামী ৮ অক্টোবর উদ্বোধন হবে এ শহিদ মিনার। এ উপলক্ষে শুক্রবার প্যারিসের অল ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনের (আয়েবা) সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রধান সমন্বয়কারী কাজী এনায়েত উল্লাহ। কাজী এনায়েত উল্লাহ বলেন, ভাষা শহিদদের আত্মত্যাগের অর্জিত এই মাতৃভাষা ও ইউনেস্কো স্বীকৃত আন্তর্জাতিক একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, এই স্মৃতিকে ধরে রাখতে, নতুন প্রজন্মের মধ্যে দেশ প্রেম জাগ্রত করতে, ফ্রান্সের তুলুজ শহরের পর প্যারিসে স্থায়ী শহিদ মিনার নির্মাণ খুব আনন্দের। বন্ধু মরহুম আব্দুল মানিক একুশে ফেব্রুয়ারি পালন প্যারিসে শুরু করেছিলেন। তার অমর কৃতিত্ব আমাদের স্মরণ রাখতে হবে। শহিদ মিনারের উদ্যোক্তা স্বরুপ সদিওল বলেন, এমন উদ্যোগ সমস্ত বাংলাদেশিদের জন্য গৌরবের, বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাষা কৃষ্টি সংস্কৃতি মেলে ধরবে, বাংলাদেশকে নিয়ে যাবে অনন্য উচ্চতায়। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ফ্রান্সের সভাপতি সালেহ আহমদ চৌধুরী বলেন, আমরা গৌরবান্বিত মহিমান্বিত একুশে ফেব্রুয়ারির জন্য ভাষা শহিদদের আত্মত্যাগের জন্য আজ আমরা বিশ্ব দরবারে পরিচিত। একুশে উদযাপন পরিষদ ফ্রান্সের সদস্য সচিব এমদাদুল হক স্বপন বলেন, প্রবাস জীবনের শত ব্যস্ততার মধ্য থেকেও আমরা দেশ মাতৃাকার জন্য কাজ করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সাংবাদিক অধ্যাপক অপু আলম, দেবেশ বড়ুয়া, লুৎফুর রহমান বাবু, ইমরান মাহমুদ, আব্দুল মালেক হিমু, ফয়সাল আহমদ দ্বীপ, শাহ সুহেল, ইকবাল মোহাম্মদ জাফর, রাসেল আহমদ, সাবুল আহমদ, বাদল পাল, তাজ উদ্দিন, ফরিদ আহমদসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীরা। প্যারিসে শহিদ মিনার নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৮০ হাজার ইউরো। এ ব্যয়ের সিংহভাগ অর্থ দিয়েছেন প্রধান সমন্বয়ক এবং আয়েবার মহাসচিব কাজী এনায়েত উল্লাহ।