খননে গচ্চা ৭৬৩ কোটি টাকা

প্রকাশিতঃ সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৩ | ৯:৩৪ পূর্বাহ্ন
অনলাইন নিউজ ডেক্স

এক সময়ের খরস্রোতা ব্রহ্মপুত্র নদসহ মরা খালে পরিণত হওয়া বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ৪৪ নদী পুনরুদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন এ অঞ্চলের বিভিন্ন সংগঠন, গবেষক ও নদী নিয়ে কাজ করেন এমন ব্যক্তিবর্গ। এ নদীগুলোর কোথাও পলি জমে ভরাট হয়ে গতিপথ পরিবর্তন হওয়া, নদীর জায়গায় বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা দখলমুক্ত করা, অপরিকল্পিত বালু উত্তোলন বন্ধ এবং স্ব-স্ব নদীর গতিপথ চিহ্নিত করে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নদ-নদীর প্রবাহ সচল এবং দূষণমুক্ত করে পূর্বে অবস্থায় ফিরিয়ে আনার দাবি তাদের। অপরদিকে ব্রহ্মপুত্র নদের নাব্য ফিরে পেতে এবং সারা বছর নৌযান চলাচল নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দুই হাজার ৭৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) কর্তৃক খনন কাজের সুফল নেই। বরং অপরিকল্পিত খননের কারণেই অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে ব্রহ্মপুত্র নদ এখন বেশি খরায় ভুগছে। অপরিকল্পিত খননের কারণেই মূলত এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বছরের বিভিন্ন সময় বিশেষ করে শুষ্ক মৌসুমে ময়মনসিংহ নগরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া পুরোনো ব্রহ্মপুত্র নদের মাঝে জেগে ওঠা চরে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে জেলা নাগরিক আন্দোলন, জনউদ্যোগ ও পরিবেশ রক্ষা উন্নয়ন আন্দোলনসহ বিভিন্ন সংগঠন। জনউদ্যোগের জেলা আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম চুন্নু বলেন, গত বছর নদ খনন প্রকল্পের পরিচালক বলেছিলেন চলতি বছরে নদে মাঝারি লঞ্চ-স্টিমার চলবে কিন্তু এখন তার উল্টো অবস্থা, নদের অনেক স্থানে হাঁটু পানি আবার কোথাও কোথাও হেঁটে পার হওয়া যায়। নদ খনন করে পূবের্র অবস্থায় ফিরিয়ে আনার পরিবর্তে পরিকল্পিতভাবে নদকে মেরে ফেলা হচ্ছে। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, কোনো নদীই আর সুস্থ নেই। বাংলাদেশের প্রায় সব নদীই দখল-দূষণে জর্জরিত। গৃহস্থালির ময়লা, কলকারখানার বর্জ্য নিষ্কাশন করে, দখল করে, অপরিকল্পিতভাবে বালু-পাথর উত্তোলন করে, অপরিকল্পিত ড্রেজিং, অপরিকল্পিতভাবে সড়ক, ব্রিজ, কালভার্ট নির্মাণ করে নদীর পরিবেশ ও প্রতিবেশ ব্যবস্থা ধ্বংস করা হচ্ছে। জাতীয় নদী কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত নদীর তালিকায় ময়মনসিংহ বিভাগের সব নদীর নাম নেই। আলোচনায় ময়মনসিংহ, জামালপুর ও টাঙ্গাইলের নদী হিসাবে ৪৪টি নদীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। যার মধ্যে সুতিখালী, খিরু, বানার, সোমেশ্বরী, সুতিয়া, মহাদেব এবং বেতাই নদীকে চরম সংকটাপন্ন হিসাবে চিহ্নিত করা হয় আর মুক্তাগাছার আইমুন নদী হারিয়ে গেছে বলে জানানো হয়। এসময় বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা প্রত্যেকটি নদীর আইডি কার্ড প্রদান এবং নদীর হেলথ কার্ড প্রদানের দাবি জানান।