জাতীয় শ্রমিকলীগের নবগঠিত রাজশাহী জেলা ও মহানগর শাখার কমিটি বাতিল

প্রকাশিতঃ সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৩ | ৫:০৮ অপরাহ্ন
অনলাইন নিউজ ডেক্স

জাতীয় শ্রমিকলীগ রাজশাহী জেলা ও মহানগরের গত ২২ সেপ্টেম্বর-২৩ গঠিত কমিটিকে অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে বিজ্ঞাপ্তি প্রকাশ করেছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব কে. এম. আযম খসরু। গত ২৩ সেপ্টেম্বর-২৩ তারিখে জাতীয় শ্রমিকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির প্যাডে সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত ঘোষণাটি ২৪ সেপ্টেম্বর রাজশাহীতে সংশ্লিষ্টদের হাতে এসে পৌঁছেছে। কমিটি অবৈধ ও বাতিল ঘোষিত বিজ্ঞাপ্তিটি সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও মেয়র রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন, সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগর ও জেলা শাখা, বিভাগীয় কমিশনার, রাজশাহী বিভাগ, পুলিশ কমিশনার, রাজশাহী মহানগর, জেলা প্রশাসক, রাজশাহী, পুলিশ সুপার, রাজশাহী, পরিচালক, বিভাগীয় শ্রম দপ্তর, রাজশাহী, সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় শ্রমিক লীগ, রাজশাহী মহানগর ও জেলা শাখা সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে পাঠানো হয়েছে। \"জাতীয় শ্রমিক লীগ, রাজশাহী মহানগর ও রাজশাহী জেলার শাখার অবৈধ ঘোষিত কমিটি বাতিল প্রসংগে\" বিষয় রেখে বিজ্ঞাপ্তিতে জাতীয় শ্রমিকলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব কে. এম. আযম খসরু বলেন, এতদ্বারা জাতীয় শ্রমিক লীগ, রাজশাহী মহানগর ও জেলা শাখার সকল নেতা-কর্মীদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও রাজশাহী মহানগর শাখার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকসহ একাধিক সূত্রে জানতে পারলাম আমাকে অবহিত না করে জাতীয় শ্রমিক লীগ, রাজশাহী মহানগর ও রাজশাহী জেলা শাখার সম্মেলন করার জন্য সংগঠনের সভাপতি (চলতি দায়িত্ব) জনাব নূর কুতুব আলম মান্নান একটি চিঠি দিয়েছেন।জাতীয় শ্রমিক লীগ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একটি ভ্রাতিপ্রতিম সংগঠন।যাহা তাঁর নিজস্ব গঠতন্ত্র ও শ্রম আইন দ্বারা পরিচালিত হয়। ব্যক্তিগত ইচ্ছায় সংগঠন পরিচালনা করার কোন সুযোগ নাই।জাতীয় শ্রমিক লীগের গঠনতন্ত্রের ১৫ (ঘ) ধারা অনুযায়ী সাধারন সম্পাদক ফেডারেশন পরিচালনার প্রধান নির্বাহী দায়িত্ব পালন করেন।সে অনুযায়ী যে কোন কমিটির সম্মেলনের তারিখ ও কমিটি অনুমোদনে সাধারন সম্পাদক স্বাক্ষর করে থাকেন।কিন্তু সংগঠনের সাধারন সম্পাদক উক্ত সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণের বিষয়ে কিছুই জানেন না।জাতীয় শ্রমিক লীগের ইতিহাসে সভাপতি কর্তৃক কোন সম্মেলনের তারিখ কিংবা কোন কমিটি অনুমোদনের চিঠিতে স্বাক্ষর করার নজির নাই। সভাপতি সংগঠনের যে কোন বিষয়ে সাধারন সম্পাদককে পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করা ছাড়া কোন সিদ্ধান্তের বিষয়ে চিঠি দিতে পারেন না।তাঁর রাজশাহী মহানগর ও রাজশাহী জেলা শাখার সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করে চিঠি দেয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ গঠনতন্ত্র, শ্রম আইন এবং সংগঠনের শৃংখলা পরিপন্থী কাজ।তিনি বিভিন্ন সময়ে তাঁর ব্যক্তি স্বার্থে কতিপয় দুর্নীতিবাজদের পরামর্শে এ ধরণের বিতর্কীত চিঠিপত্র লেখে সংগঠনের ভীতর বিভাজন সৃষ্টি করে বিএনপি-জামাতের লোকজনকে অনুপ্রবেশের সুযোগ করে দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।যাহা কোনভাবেই কাম্য হতে পারে না।সভাপতি (চলতি দায়িত্ব) এর এহেন কর্মকান্ড শ্রম আইন অনুযায়ী Unfair Labour Practic (অবৈধ শ্রম চর্চা) এবং সংগঠনের শৃংখলা পরিপন্থী কাজ। তাই সংগঠনের বৃহত্তর স্বার্থে সভাপতি (চলতি দায়িত্ব) জনাব নূর কুতুব আলম মান্নান কর্তৃক নির্ধারিত ২২/০৯/২০২৩ইং তারিখের রাজশাহী মহানগর শাখার সম্মেলন গঠনতন্ত্রের প্রদত্ত ক্ষমতা বলে বাতিল করে সংশ্লিষ্ট সকলকে অবহিত করে ছিলাম এবং পরবর্তীতে আলোচনার মাধ্যমে সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলাম। ধন্যবাদান্তে, কিন্তু অত্যান্ত দুঃখের বিষয় আমার অনুরোধ এবং সংগঠনের নিয়মনীতিকে উপেক্ষা করে অবৈধভাবে অনুষ্ঠিত ২২/০৯/২০২৩ ইং তারিখে বিতর্কীত সম্মেলনের মাধ্যমে জাতীয় শ্রমিক লীগ, রাজশাহী মহানগর কমিটিতে জনাব মোঃ মাহবুবুল আলমকে সভাপতি ও জনাব মোহাম্মদ আকতার আলীকে সাধারন সম্পাদক এবং রাজশাহী জেলা কমিটিতে আলহাজ্ব আব্দুল্লাহ খানকে সভাপতি ও মোঃ আবু বকর সিদ্দিককে সাধারন সম্পাদক করে যে অবৈধ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।উক্ত ঘোষিত কমিটি সম্পূর্নরূপে অবৈধ, বেআইনী এবং সংগঠনের শৃংখলা পরিপন্থী ঘৃনীত কাজ।সুতরাং সংগঠনের বৃহত্তর স্বার্থে এবং সংগঠনের মধ্যে বিশৃংখলা এড়ানোর লক্ষ্যে অনৈতিক পন্থায় অবৈধভাবে ঘোষিত উক্ত কমিটিকে গঠনতন্ত্রের ১৫ (ঘ) ধারার প্রদত্ত ক্ষমতাবলে তা বাতিল করা হলো।