বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে গিয়েই বিদেশ যাওয়ার আবেদন করতে হবে বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন। সোমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা নিতে হলে তাদের নতুন করে আবেদন করতে হবে। তখন আগের আদেশ বাতিল হয়ে যাবে। আদেশ বাতিল হয়ে গেলে তিনি (খালেদা জিয়া) বাইরে থাকতে পারবেন না। এর আগে এ প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে শর্তসাপেক্ষে সাজা স্থগিত করে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এখন আইনের কোনো পরিবর্তন আনতে হলে, শর্তযুক্ত মুক্তি বাতিল করতে হবে। তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে আইনের ৪০১ ধারায় শর্তযুক্ত করে সাজা স্থগিত করা হয়েছে। এখন যদি কোনো আইনের পরিবর্তন আনতে হয় তাহলে তাকে শর্তযুক্ত মুক্তি বাতিল করতে হবে। আইনের অবস্থান থেকে সরকারের আর কিছু করার নাই। তিনি আরও বলেন, দেশে আইনের শাসন আছে। আদালতকে শ্রদ্ধা জানাই। যে শর্তে তার (খালেদা জিয়া) সাজা স্থগিত রাখা হয়ছে, তিনি তা মেনেছেন। এর চেয়ে বেশি করার কিছু নেই। চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠাতে আবেদন প্রকাশ্যে আনলেন কায়সার কামাল: বিতর্কের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠাতে আবেদন প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। গত ৫ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর পাঠানো ওই চিঠির শেষাংশে বলা হয়- খালেদা জিয়ার জীবন রক্ষার্থে ও তার শারীরিক সক্ষমতা ফিরিয়ে আনার জন্য জরুরিভিত্তিতে উন্নতমানের ফিজিওথেরাপিসহ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে দেশের বাইরে ‘অ্যাডভান্স মেডিকেল সেন্টারে’ চিকিৎসা গ্রহণ করা অত্যাবশ্যক। এমতাবস্থায় সব শর্ত শিথিলপূর্বক তাকে স্থায়ীভাবে মুক্তি এবং বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার জন্য আবেদন জানাচ্ছি। ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠাতে আবেদন করা হয়েছে। নতুন করে আবেদন করার কথা বলে সরকার সময়ক্ষেপণ করে খালেদা জিয়াকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠাতে আদালতের আদেশের প্রয়োজন নেই। সরকার নির্বাহী আদেশে তাকে অস্থায়ীভাবে মুক্তি দিয়েছেন। নির্বাহী আদেশ দিয়েই তাকে বিদেশ পাঠাতে পারেন।