বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অবনতিশীল বলে জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে এ কথা জানান তিনি। খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার দাবিতে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এ সময় রিজভী বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অবনতিশীল। আমি গতকাল (সোমবার) তাকে দেখতে গিয়েছিলাম। তার অদম্য সাহস আমাদেরকে তরুণ বয়সে ছাত্রজীবনে প্রেরণা দিয়েছে। তাকে আজকে রাষ্ট্রীয় কষাঘাতে কোনো চিকিৎসা না দিয়ে তিলে তিলে নিঃশেষ করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। বেগম জিয়ার উন্নত চিকিৎসা দরকার। কিন্তু এই সরকারের কানের মধ্যে পাথর ঢুকে গেছে। সরকার চিকিৎসক ও জনগণের দাবি শুনতে পায় না। কারণ তাদের একটি অশুভ উদ্দেশ্য আছে, সেটা হলো-কীভাবে বেগম জিয়াকে নিঃশেষ করা যায়। খালেদা জিয়াকে সরকার পৃথিবী থেকে সরাতে চায় বলেও মন্তব্য করেন রিজভী। তিনি বলেন, আজকে সারা দেশে ভয়ঙ্কর দুর্ভিক্ষের অবস্থা বিরাজ করছে। মানুষ দাবি করতে ভয় পায়। জ্বালানি তেল ও সারের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করেছে কেন? অবৈধ সরকার বলছে, আন্তর্জাতিক চাপ আছে। কিন্তু সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও গণতন্ত্রকামী দেশ যখন বলে তখন সরকার বাইরের চাপের কাছে মাথা নত করবে না। রিজভী বলেন, দেশের মানুষ খেতে পারছে না। মধ্যবিত্তরা যারা কারও কাছে কিছু চাইতে পারে না তারা নীরবে কান্না করছে, তাদের চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। এই সরকার সিন্ডিকেটবান্ধব। চিনির কেজি ১৩৫ টাকা সরকার নির্ধারণ করেছে। বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকা থেকে ১৫০ টাকা। সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। যারা এই বাজার নিয়ে ফটকাবাজি করে তারা তো আওয়ামী লীগের লোক। যারা সিন্ডিকেট করছে তারা আওয়ামী লীগের লোক। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। তারপরও তিনি বহাল তবিয়তে মন্ত্রী আছেন। মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিএনপির মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সম্পাদক জয়নুল আবেদিন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান, সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।