বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্র। বিশেষ করে যেসব দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে, যেমন— বিনিয়োগ, যাতায়াত প্রভৃতি সংশ্লিষ্ট থাকে, তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় দেশটি। এবার মাদক ছড়িয়ে পড়ার ব্যাপারে আরও কঠোর হতে চলেছে দেশটি। এ নিয়ে দিয়েছে নতুন নিষেধাজ্ঞাও। সম্প্রতি এ নিষেধাজ্ঞা জারি করে বাইডেন প্রশাসন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, অবৈধ এই মাদকপাচারের সঙ্গে জড়িত ১০ ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এর ভেতর ৯ জন মেক্সিকান ও একজন কলম্বিয়ান। নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা মেক্সিকোর ৯ জনই আবার সিনালোয়া কার্টেলের (মেক্সিকোভিত্তিক মাদক ব্যবসায়ীদের সংঘবদ্ধ চক্র) শীর্ষ সদস্য। আর কলম্বিয়ান ওই ব্যক্তি কলম্বিয়ার মাদকপাচারকারী চক্র ডেল গলফোর শীর্ষ নেতা। এর আগে সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাশিয়া, চীনসহ চার দেশের মোট ২৮ প্রতিষ্ঠানের ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন। অন্যান্য দেশের মতোই বিশ্বের মোড়ল যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানি সম্পর্কিত নীতিমালার দেখভাল করে থাকে মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সোমবার রাশিয়া, চীন, ফিনল্যান্ড ও জার্মানির মোট ২৮ প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এদের মধ্যে রাশিয়াকে ড্রোন তৈরিতে ব্যবহৃত খুচরা যন্ত্রাংশ সরবরাহ করায় ১১টি চীনা ও পাঁচটি রুশ প্রতিষ্ঠানকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। রাশিয়া দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানিও তালিকাভুক্ত হয়েছে। এখন থেকে এসব প্রতিষ্ঠানের কাছে প্রযুক্তি রপ্তানি করতে পারবে না মার্কিন সরবরাহকারীরা। এক বিবৃতিতে মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ বিভাগের প্রধান অ্যালান এস্তেভেজ বলেছেন, যারা ইউক্রেনে পুতিনের অবৈধ ও অনৈতিক যুদ্ধে সরঞ্জাম সরবরাহ ও সমর্থন করবে, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ও অর্থপূর্ণ ব্যবস্থা নিতে আমরা কোনো দ্বিধা করব না।