প্রচণ্ড গরম আর লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ গ্রামের মানুষ। একদিকে এডিস মশার উৎপাত, অপরদিকে মশারির ভেতর অসহ্য গরম। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের কারণে ফ্যান ঘুরছে না। সন্ধ্যা পার হলেই অন্ধকারে ডুবছে গ্রাম। হাটবাজারগুলোয় নেই আলোর ঝলকানি। ময়মনসিংহ, সিলেট, কুমিল্লা, নেত্রকোনাসহ দেশের অনেক জেলার চিত্রই এমন। গরম সহ্য করতে না পেরে শিশু ও বয়স্কদের অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। রাতভর না ঘুমিয়ে ছটফট করছেন প্রায় সবাই। গ্রামের হাসপাতালগুলোয়ও লোডশেডিং হচ্ছে ঘণ্টায় ঘণ্টায়। শহরে বিদ্যুৎ না থাকলে আন্দোলনের ভয় থাকে। কিন্তু গ্রামের নিরীহ মানুষ কষ্ট সহ্য করে যাচ্ছেন। এ পরিস্থিতিতে শুধু গ্রাহকই নন, লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ সংশ্লিষ্ট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও। গ্রাহকদের পাশাপাশি প্রতিনিয়ত তারাও টেলিফোন করে লোডশেডিং নিয়ে কষ্টের চিত্র পত্রিকায় তুলে ধরার অনুরোধ করছেন। তাদের অভিযোগ-অনেক স্থানে চাহিদার তিনভাগের একভাগ বিদ্যুৎও পাচ্ছেন না। যা পাচ্ছেন, তা দিয়ে গ্রামের ভিআইপি এবং প্রভাবশালীদের সামাল দিতেই হিমশিম খাচ্ছেন। এ অবস্থায় প্রতিদিন আতঙ্ক নিয়ে অফিস করছেন তারা। কখন জনরোষের শিকার হন, এই ভয়ে তারাও তটস্থ থাকেন। দেশের প্রায় সব গ্রামে বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) দিনে চাহিদার তুলনায় ৬০ শতাংশ কম বিদ্যুৎ পাচ্ছে। রাত ১০টার পর পরিমাণ আরও কমে। তখন লোডশেডিং পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। কোথাও কোথাও লোডশেডিং হচ্ছে ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা। উৎপাদন ও চাহিদা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সরকারি হিসাবে উৎপাদন ও চাহিদার মধ্যে গড়ে ফারাক মাত্র ৭০ থেকে ১০০ মেগাওয়াট। প্রশ্ন উঠেছে তাহলে এত লোডশেডিং কেন? বিদ্যুৎ তো আর জমা করে রাখা সম্ভব নয়। বিতরণ কোম্পানিগুলোর তথ্য অনুযায়ী, সিস্টেম লসও আগের মতো বেশি নয়। তাহলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে কেন? বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন নিয়ে চরম লুকোচুরি হচ্ছে। যে পরিমাণ উৎপাদন দেখানো হচ্ছে, বাস্তবে সে পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। কিংবা যে চাহিদা ধরা হচ্ছে, সেটা বাস্তব নয়। তাদের মতে, উৎপাদন ও চাহিদার মধ্যে নিশ্চয় বড় ধরনের কোনো ঘাপলা আছে। না হলে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য কোনো চক্র বিদ্যুৎ বিতরণ নিয়ে কারসাজি কিংবা ষড়যন্ত্র করছে। অথবা উৎপাদন বেশি দেখিয়ে সিন্ডিকেট কৌশলে ভাগবাঁটোয়ারা করে নিয়ে যাচ্ছে। যার খেসারত দিতে হচ্ছে গ্রামের নিরীহ মানুষকে। ২৯ সেপ্টেম্বরের সরকারি হিসাব অনুযায়ী দেশে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১৪ হাজার ৯৩ মেগাওয়াট। এদিন পিক আওয়ারে উৎপাদন হয়েছে ১৩ হাজার ৭৯৩ মেগাওয়াট। অফ-পিকে ১১ হাজারের একটু বেশি। লোডশেডিং ছিল মাত্র ৩০০ মেগাওয়াট। অথচ ওই দিন শুধু দেশের ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা আর কুমিল্লা জেলায় লোডশেডিং হয়েছে এর চেয়ে বেশি মেগাওয়াট। ২৯ ও ৩০ সেপ্টেম্বরের চিত্রও তুলনামূলকভাবে একই। ওই দুই দিনও সরকারি হিসাবে লোডশেডিং ছিল ১০০ থেকে ৩০০ মেগাওয়াট। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই দুই দিন দেশের বেশির ভাগ গ্রামে দিনের বেলায় এক ঘণ্টা পর পর লোডশেডিং করেছে বিতরণ কোম্পানিগুলো। রাত ১০টার পর অসংখ্য গ্রামে এক ঘণ্টাও বিদ্যুৎ ছিল না। আরইবির তথ্য অনুযায়ী, বুধবার ৯ হাজার ৫৬৫ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে ঢাকার বাইরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে ৬ হাজার ৭৯৮ মেগাওয়াট। আর মঙ্গলবার ৯ হাজার ৪১৭ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ ছিল ৬ হাজার ৭১৪ মেগাওয়াট। ঢাকা, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, কুমিল্লা ও রাজশাহী অঞ্চলের গ্রাম এলাকায় ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা লোডশেডিংয়েরও খবর পাওয়া গেছে। চট্টগ্রাম, রংপুর, সিলেট, বরিশালের গ্রামগুলোয় চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকার অভিযোগ করছেন গ্রাহকরা। রোববার সারা দেশে আরইবি সর্বোচ্চ লোডশেডিং করেছে ২ হাজার ৭৭০ মেগাওয়াট। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, আগের চেয়ে অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও এখনো ময়মনসিংহ ও উত্তরাঞ্চলের গ্রামগুলোয়, বিশেষ করে রাতে বেশি লোডশেডিং হচ্ছে। সরকার বিদ্যুৎ ঘাটতি পূরণ না করতে পারলেও সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে বসিয়ে রেখে জনগণের করের পয়সায় প্রতিমাসে হাজারো কোটি টাকা ফিক্সড চার্জ বা ক্যাপাসিটি চার্জ দিচ্ছে। জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকারের মেয়াদে বিদ্যুৎ উৎপাদন না করেও ৮২টি বেসরকারি এবং ৩২টি রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র ক্যাপাসিটি চার্জ হিসাবে পেয়েছে ১ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা। ৫ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের উত্তরে এ তথ্য দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, শহরের তুলনায় গ্রামে লোডশেডিং বেশি হচ্ছে। এর বহুবিধ কারণও রয়েছে। শহরে গুরুত্বপূর্ণ মানুষের আবাসন, শিল্পকারখানা, বড় বড় অফিস-আদালত; তাই শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহও বেশি। বড় শহরের কোনো একটি অংশে কয়েক ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকলে বিদ্যুৎ সরবরাহ অফিসে অনেক জায়গা থেকে ফোন আসে। সরকারদলীয় নেতারাও এসব অফিসে ফোন করে দ্রুত বিদ্যুৎ দেওয়ার তাগাদা দেন। অনেক সময় মানুষ প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসেন, বিদ্যুৎ অফিসে হামলার ঘটনাও ঘটে। বিপরীতে গ্রামে লোডশেডিং হলে এমন কিছু হয় না। বরং তারা বিদ্যুৎ আসার অপেক্ষায় থাকেন। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় শহরের তুলনায় গ্রামে লোডশেডিংয়ে দুর্ভোগ বেশি হয়। বিদ্যুতের বিকল্প হিসাবে শহরের বেশির ভাগ অফিস-আদালত, শিল্পকারখানা, আবাসিক এলাকা, কিংবা বাড়িতে জেনারেটর বা আইপিএস থাকে। কিন্তু গ্রামের বেশির ভাগ বাড়িতে এসব নেই। কারণ, এসব বিকল্প ব্যবস্থা রাখার সামর্থ্য বেশির ভাগ মানুষের নেই। নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতায় ৬ লাখ ১৩ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। প্রতিদিন গড়ে এখানে ১০০ থেকে ১৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন। কিন্তু পাচ্ছেন ৩৫ থেকে ৪০ মেগাওয়াট। যে কারণে এখানে দিনে অধিকাংশ ও রাত ১০টার পর বিদ্যুৎ থাকে না। এই সমিতির আওতায় নেত্রকোনার ১০টি উপজেলা এবং সুনামগঞ্জের ২টি উপজেলা রয়েছে। সরেজমিন ঘুরে ও খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই সমিতির আওতায় চল্লিশা, রোহা, মেদনী, মেঠগাঁও, দক্ষিণ বিশিউড়া, কাইলহাটি, লক্ষ্মীগঞ্জ, মদনপুর, আমতলা, সিংহের বাংলো, ঠাকুরাকোনা, সাহতা, কেগতি, ফতেহপুর, গোবিন্দশ্রী, খালিয়াঝুড়ি, চানগাঁও, কাইটাইল, মাঘান, সুখারী, নয়েকপুর, বারহাট্টা সদর, সিংহের গাঁও, আন্দাদিয়া, রৌহা, ডেমুড়া, গাকান্দিয়া, কুল্লাপাড়া, শিবগঞ্জ, কাকেরগঞ্জ, বাকলাজোড়া, বিরিশিরি, উৎরাইল, দুর্গাপুর, পেরি, বলাশিমুল, কান্দিউড়া, রয়েলবাড়ি, সান্দিকোনা, ফকিরের বাজার, হারিয়াতলা, তেয়শ্রি, ঘাগড়া, হোগলা, গোহালাকান্দিা, পূর্বধলা, বিশকুনিয়া, শুকনাবাড়ি, বানঝাইল, কাপাসকাটিয়া, কুমুদগঞ্জ ইউনিয়নে রাত ১০টার পর বিদ্যুৎ থাকে না। এ সময় প্রচণ্ড গরমে মানুষের নাভিশ্বাস ওঠে। রাতভর শিশু ও বয়স্ক মানুষজন ঘুমাতে পারেন না। সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১ ঘণ্টা পরপর লোডশেডিং হয়। দুপুর ১২টার পর থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মাত্র ২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে। তবে নেত্রকোনা সদর-১-এর আওতাধীন ৯ নম্বর ফিডারে কোনো লোডশেডিং হয় না বলে স্থানীয় বাসিন্দরা জানিয়েছেন। সমিতির জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী বিপ্লব কুমার সরকার জানান, তারা চাহিদা অনুযায়ী পর্যপ্ত বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না বলে বাধ্য হয়ে লোডশেডিং করতে হচ্ছে। রাত ১০টার পর তারা প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ দিতে পারেন না গ্রহকদের। একই অবস্থা দিনেও। তবে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত লোডশেডিংয়ে কিছুটা পাওয়া যায় বলে তিনি জানান। গাজীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি থেকে প্রতিদিন বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ৪৬২ মেগাওয়াট। এর বিপরীতে যাচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ মেগাওয়াট। দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ সূত্র জানায়, ১১০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ মেগাওয়াট। খুলনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে সরবরাহে ৩০ শতাংশ ঘাটতি থাকছে। মাঝেমধ্যে আরও বেড়ে যায়। লক্ষ্মীপুরে চলমান লোডশেডিংয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গ্রাহকদের দাবি, এক ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকলে লোডশেডিং থাকে দেড় ঘণ্টারও বেশি। এতে গরমে হাসপাতালে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন রোগীরা। লক্ষ্মীপুর বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) সূত্র জানায়, তাদের অধীনে প্রায় ৩৮ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। তারা সবাই লক্ষ্মীপুর পৌরসভার বাসিন্দা। পিক আওয়ারে ১৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয়। কিন্তু সরবরাহ করা হচ্ছে মাত্র ৯ মেগাওয়াট। এতে লোডশেডিং চরম আকার ধারণ করেছে। ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গ্রাহক ৪ লাখ ১৪ হাজার। ৮৩টি ফিডারের মাধ্যমে এই বৃহৎ সংখ্যক গ্রাহককে বিদ্যুতের জোগান দিতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রতিদিন ৯৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন। কিন্তু তিনি দাবি করেন, চাহিদার বিপরীতে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে। ঝিনাইদহ ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) এক কর্মকর্তা বলেন, ঝিনাইদহ ওজোপাডিকোর এলাকায় মিল-কারখানাসহ ১ লাখ ৩০ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। এই বিশাল গ্রাহকের চাহিদা মেটাতে প্রতিদিন ৫৫ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন। কিন্তু আমরা পাচ্ছি ৩০ থেকে ৩২ মেগাওয়াট। চাহিদার তুলনায় প্রতিদিন ২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি রয়েছে আর এই ঘাটতি পূরণের জন্য প্রতিদিন ১০ ঘণ্টা লোডশেডিং দিতে বাধ্য হচ্ছি। কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, সরকার দফায় দফায় বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করেছে। মূল্য বৃদ্ধির বিনিময়ে জনগণ যেটা চায়, সেটা হলো নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ। সেটাও যদি সরকার নিশ্চিত করতে না পারে, তাহলে এটা তাদের ব্যর্থতা। তাই সরকারকে এখন পরিকল্পনামাফিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে জোর দিতে হবে। তিনি বলেন, ১৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে এই সরকারের উন্নয়নের একটি তালিকা তুলে ধরা হয়। ওই তালিকার সাফল্যের শীর্ষে অবস্থানকারী খাত ছিল বিদ্যুৎ। তিনি বলেন, সংসদ-সদস্য, মন্ত্রীরা অভিজাত এলাকায় থাকেন। সেখানে তো আর লোডশেডিং হয় না। এজন্যই সরকারের সব পর্যায়ের নেতানেত্রীরা বিদ্যুতের উন্নয়নের সাফল্যগাথায় ঘি ঢালছেন। কিন্তু লোডশেডিং কী এবং কত প্রকার, তা কেবল যারা গ্রামে থাকেন, তারাই বুঝেন। আগে লোডশেডিংয়ের একটা শিডিউল ছিল। কখন আসবে আর কখন যাবে আমরা জানতাম। এখন আর কোনো শিডিউল নেই। সন্ধ্যা ৬টায় গেলে আবার কখন আসবে, তা বিদ্যুৎ অফিসের লোকেরাও বলতে পারেন না। শামসুল আলম বলেন, আমাদের এখানে পিক আওয়ার কিংবা অফ-পিক আওয়ার বলে কিছু নেই। ভোরেও যখন লোডশেডিং হয়, তখন বিদ্যুৎ বিতরণের অবস্থা কতটা করুণ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।