বাজারে সিন্ডিকেট করা কতিপয় ব্যবসায়ীদের দমনে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। তিনি বলেছেন, বাজার ব্যবস্থাপনা অস্থিতিশীল করতে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের আশ্রয় নিচ্ছে। এগুলো এক ধরনের দস্যুতা। এরা দেশের শত্রু। দেশ গোল্লায় গেলেও এরা কিছু ভাবে না। তবে এ ধরনের ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থান রয়েছে। তাদেরকে দমন করতে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে। মঙ্গলবার রাজধানীর সিরডাপ আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত বিএজেএফ প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘রিপোর্টিং অন এগ্রিকালচার ট্রান্সফরমেশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ কর্মশালার আয়োজন করে বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরাম (বিএজেএফ)। বিএজেএফ-এর সভাপতি গোলাম ইফতেখার মাহমুদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাহানোয়ার সাইদ শাহীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেএসএম মোস্তাফিজুর রহমান। এ ছাড়া এনআরবিসি ব্যাংকের হেড অব কমিউনিকেশনের প্রধান মো. হারুন অর রশিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় কৃষি সাংবাদিকতায় নিয়োজিত ৬০ জন গণমাধ্যমকর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, জনস্বার্থের বাইরে দেশের প্রতি দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে রাজনৈতিক দল হিসেবে আমি ব্যক্তিগতভাবে যেমন বিশ্বাস করি, আমার দলও বিশ্বাস করে সিন্ডিকেশন করে কতিপয় ব্যবসায়ীরা। যারা দেশপ্রেমিক না। দেশবান্ধব না। যারা এসব করে মানুষকে কষ্ট দেয়, মানুষকে বেদনা দেয়, এদেরকে সমর্থন আমরা কখনো করি না। কখনো এদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টাও করি না। তিনি বলেন, সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া নয়, কোনো সিন্ডিকেট যাতে গড়ে উঠতে না পারে সেদিকে সরকারের পক্ষ থেকে দেখা হচ্ছে। দেশের মানুষের ন্যূনতম সম্ভাবনাকে যারা পুঁজি করে নিজেদের আখের গোছায় এদেরকে আওয়ামী লীগ সমর্থন করে না। কখনোই করে না। তাই ওই সব অসাধুদের দমনে কাজ করা হচ্ছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর তাদের আইনে শাস্তি দিচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠান আগে দেখা যেত না। ভোক্তার কল্যাণের এই প্রতিষ্ঠান তৈরি করা হয়েছে। ভোক্তার স্বার্থে তারা কাজ করছে। কাজ করার ভেতর দিয়ে নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। নাছিম বলেন, এখন বাংলাদেশ এমন অবস্থায় এসেছে, আমরা বলতে পারি- আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। কৃষিখাতে কী ধরনের সংকট রয়েছে- তা তুলে ধরতে সাংবাদিকদের আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের কৃষি সংকটে, বাংলাদেশের কৃষকরা ন্যায্যমূল্যে সারের জন্য জীবন দিয়েছে৷ অধিকার অর্জনে তারা জীবন দিয়েছে। একবার নয়, একাধিকবার। কৃষি নিয়ে যারা রাজনীতি করে তাদের অর্জন টেকসই হবে না। আওয়ামী লীগ দেশের কৃষকদের জন্য অন্তপ্রাণ। আমাদের দেশের মানুষের বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য নিরাপত্তার জন্য আমরা কাজ করি। বাংলাদেশ ভয়াবহ খাদ্য সংকটে পড়ছে, এমন আতঙ্ক মানুষের মাঝে ছড়ানো হয়েছিল। তাতে লাভ হয়নি। বাংলাদেশ খাদ্য সংকটে পড়বে না। আমেরিকার ভিসানীতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভিসা যার দেশের তার একটা নিয়ম আছে। সেটা সমৃদ্ধশালী দেশের হোক কিংবা পশ্চিমা কোনো দেশের হোক। বাংলাদেশও সবাইকে ভিসা দেয় না।