অকার্যকর বেঁধে দেওয়া দাম: সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য কি চলতেই থাকবে?

প্রকাশিতঃ অক্টোবর ৭, ২০২৩ | ৭:৫৯ পূর্বাহ্ন
মোঃ রাছেল রানা, প্রধান সম্পাদক

সিন্ডিকেটের কারসাজি রোধে তিন সপ্তাহ আগে আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের দাম বেঁধে দিয়েছিল সরকার। কিন্তু তা কার্যকর না হওয়ায় বোঝা যাচ্ছে, বাজারে সিন্ডিকেট এখনো রয়েছে বহালতবিয়তে। বস্তুত সিন্ডিকেট ভাঙতে ব্যর্থ হয়েছে কর্তৃপক্ষ। সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে দেশের বাজারব্যবস্থা। বলা যায়, কোনো নিত্যপণ্যের ব্যবসাই এখন আর সিন্ডিকেটমুক্ত নেই। কিন্তু প্রশ্ন হলো, বাজারে সিন্ডিকেটের কারসাজি চলছে, অসৎ ব্যবসায়ীরা অসাধু পন্থা অবলম্বন করে অতি মুনাফা লুটছে-এসব কি দেখার কেউ নেই? ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে আমদানি করা পণ্যের দাম কিছুটা বাড়তেই পারে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, কোনো পণ্যের আমদানিতে যতটা না দাম বাড়ছে, অসৎ ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে তার চেয়ে অনেক বেশি। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লে অসৎ ব্যবসায়ীরা মওকা পেয়ে যাচ্ছে। এ প্রবণতা কোনোভাবেই চলতে দেওয়া যায় না। মনে রাখতে হবে, এই অতি মুনাফাখোর ব্যবসায়ীরা অপরাধী, তাদের শক্ত হাতে দমন করা জরুরি। বস্তুত অসৎ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আজ পর্যন্ত দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলেই দিন দিন তাদের লোভ বাড়ছে, তারা হয়ে উঠছে বেপরোয়া। বাজার তদারকির কথা শোনা গেলেও বাস্তবে এ ধরনের তৎপরতা কোনো বাজারেই দৃশ্যমান নয়। বাজার তদারকি সংস্থার উদ্দেশে আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, নিত্যপণ্যের প্রতিটি বাজারে নিয়মিত নজরদারির ব্যবস্থা করুন। প্রয়োজনে গোয়েন্দা তৎপরতা চালানো হোক। চিহ্নিত করা হোক সিন্ডিকেট। অসৎ ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারের ব্যবস্থা করে আইনের আওতায় আনা হোক। এ ধরনের কিছু দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন। পাশাপাশি টিসিবিকে সক্রিয় করুন। দেখবেন অতি মুনাফাখোরদের দৌরাত্ম্য বন্ধ হয়ে গেছে। আর তা না পারলে সেটা বাজার তদারকি সংস্থা ও সংশ্লিষ্টদের ব্যর্থতা বলে পরিগণিত হবে। প্রশ্ন উঠবে সংশ্লিষ্টদের সততা ও আন্তরিকতা নিয়ে। সেক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধেই নিতে হবে ব্যবস্থা। তাদের বুঝতে হবে, প্রতিটি নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে নিম্নআয়ের মানুষ বড় কষ্টে আছে। এ অবস্থায় বাজারে দিনের পর দিন সিন্ডিকেটের অপতৎপরতা চলতে দেওয়া যায় না। এদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে অভিযান শুরু করা দরকার।