রাজশাহী জেলার চারঘাট উপজেলায় কৌশল পরিবর্তন করে চলছে মাদকের রমরমা বাণিজ্য।ধরা ছোয়ার বাইরে রাঘব বোয়ালরা।যারা আটক হচ্ছেন তারা মুলত গডফাদারদের নিয়োগকৃত চুনোপুটি মাত্র।ফলে প্রশাসনের শত চেষ্টার পরেও বন্ধ হচ্ছে না মাদক বাণিজ্য।এতে মাদকের ভয়াবহতায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে অভিভাবকসহ স্থানীয়রা। তবে স্থানীয় প্রশাসনের দাবি,মাদকের বিরুদ্ধে চলছে জিরো টলারেন্স নীতি।গত কয়েকদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন মাদক প্রবণ এলাকায় সরজমিনে গিয়ে জানা যায় এমন চিত্র। মাদককে কেন্দ্র করে একাধিকবার সংঘর্ষ ও হত্যকান্ডের ঘটনা ঘটলেও থামছে না মাদক ব্যবসায়ীরা।বরং তারা হয়ে উঠছে আরো হয়ে উঠছে বেপরোয়া।মাদকের ভয়াবহতা নিয়ে একাধিকবার উপজেলা মাসিক আইনশৃঙ্খলা সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না বলে অভিযোগ মাদক প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বাদশার। বাদশা বলেন,চারঘাটে শুধু মাদককে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে হত্যাকান্ডের ঘটনায় একাধিক ব্যাক্তি প্রাণ হারালেও যেন মাদক বিস্তার থেকে নিরুতসাহিত হচ্ছে না ব্যবসায়ীরা।মুলত কৌশল পরিবর্তন করে তারা আড়ালে আবডালে থেকে তাদের নিয়োগকৃতদের দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে অবৈধ মাদক ব্যবসা। মুলত উপজেলার নিমপাড়া ইউনিয়নের নন্দনগাছী রেলষ্ট্রেশন, কামীনি, কালোহাটি, ভায়ালক্ষিপুর ইউনিয়নের পুঠিমারী, বুদিরহাট,চারঘাট সদর ইউনিয়নের রাওথা, পিরোজপুর, চারঘাট পৌরসভার মোক্তারপুর, আন্দারীপাড়া, ইউসিুফপুর ইউনিয়নের টাঙ্গন, ইউসুফপুর, শলুয়া ইউনিয়নের চামটা তাতারপুর । এসব এলাকায় এখন ব্যাপক ভাবে চলছে মাদক বানিজ্য।আর এসব মাদক বানিজ্যের সঙ্গে লাঘব বোয়াল হিসেবে যারা জড়িত তারা বরাবরই থাকছে ধর ছোয়ার বাইরে।মাদক বন্ধ করতে হলে প্রয়োজন এসব লাঘব বোয়ালদের চিহিৃত করে তাদের আইনের আওতায় আনা।এছাড়াও দরকার মাদক প্রবণ এলাকায় বেশী বেশী করে অভিযানের পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়াতে আলোচনা সভা। চারঘাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ এস এম সিদ্দিকুর রহমান বলেন,সবে মাত্র কয়েকদিন হলো থানায় যোগদান করেছি।মাদকের সঙ্গে কোন ধরণের আপোষ নেই।এখানে লাঘব বোয়াল আর চুনোপুটি নেই।যারাই জড়িত থাকবে তাদের খুজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন,মাদক বিরোধী অভিযান জোরদার করতে ইতিমধ্যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে কথা হয়েছে।দ্রুত সময়ের মধ্যে চারঘাটে মাদক বিরোধী অভিযান জোরদার করে এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরন করা হবে।মাদকের সঙ্গে কোন ধরণের আপোষ নেই।