যুক্তরাষ্ট্রে ভিসা বিধিনিষেধ প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, যারা দুর্নীতি, অন্যায় করেছে, বিচারক হয়ে দলীয়ভাবে বিচার করছে, ব্যবসায়ী যারা চুরি করেছে, তারা এখন আতঙ্কিত। সবচেয়ে বেশি আতঙ্কের ছাপ প্রধানমন্ত্রীর মুখে। এমনভাবে কথাবার্তা বলছেন মনে হয় উন্মাদ। শনিবার রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে শিক্ষক-কর্মচারী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর এত মাথাব্যথা কেন? কারণ, ওরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে-‘যেখানে গণতান্ত্রিক পরিবেশ রয়েছে সেখানে তারা কাজ করতে চায়, সহযোগী হতে চায়।’ প্রধানমন্ত্রী আনন্দের সঙ্গে বলেছেন-বিদেশিরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কিছু বলেনি। ‘বলতে হয় না, এগুলো বোঝা যায়। আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে তা প্রমাণিত হয়েছে।’ সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা বলতে চাই, রাজনৈতিকভাবে আপনার সময় হয়ে গেছে। দয়া করে কেটে পড়েন। তা না হলে জনগণ আপনাকে ক্ষমতা থেকে টেনে নামাবে। প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশে করে মির্জা ফখরুল বলেন, অনেক কষ্ট দিয়েছেন মানুষকে। অনেক স্ত্রীকে স্বামীহারা করেছেন, অনেক মাকে পুত্রহারা করেছেন, অনেক সন্তানকে পিতাহারা করেছেন, অনেক রক্ত ঝরিয়েছেন। এখনো সময় আছে দয়া করে বিদায় হোন। আপনারা যে অপকর্ম করেছেন, তার জবাবদিহি এক সময় করতে হবে। তাই অবিলম্বে পদত্যাগ করুন, সংসদ বিলুপ্ত করুন। স্পষ্ট করে বলেছি-নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। সংসদ এখন তোষামোদ করার কারখানায় পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকারের জবাবদিহিতা নেই। প্রধানমন্ত্রী বক্তৃতা করবেন আর সংসদ সদস্যরা বলেন-আহা বেশ বেশ।