হামাসের সদস্যরা ইসরাইলে যে রকেট নিক্ষেপ করেছে তা ‘ইসরাইলের দখল নির্মূল করতে করা হয়েছে’ এবং হামাস ‘সদস্যদের এ কাজে গর্বিত’ বলে জানিয়েছেন হামাসের পররাষ্ট্রবিষয়ক সম্পর্কের প্রধান খালিদ মেশাল। তুরস্কের হাবেরতুর্ক টিভিকে তিনি বলেন, এ সংঘাত ‘গত সপ্তাহে নয়, ১৯৪৮ সালে শুরু হয়েছে।’ খালিদ মেশাল বলেন, ইসরাইল সব সময় বলে এসেছে যে তাদের সেনাবাহিনী সবচেয়ে শক্তিশালী ও অজেয়। আমরা যখন দেখি তারাও কয়েক ঘণ্টার মধ্যে হেরে গেছে, তখন আমরাও অবাক হয়ে যাই। আমরা এই ভূখণ্ডের মালিক। বাইরে থেকে যখন শত্রু আসে, সেনা বা বেসামরিক ব্যক্তি, সবাই তখন শত্রু। আমার ভূখণ্ডে যেই আসুক (দখল করতে), সেই শত্রু এবং অপরাধী। হামাস সদস্যরা শিশু, নারীসহ বেসামরিক নাগরিকদের ওপর যে হামলা করেছে, সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমরা তাদের (হামাস সদস্যদের) বারবার বলে এসেছি এই ধরনের কাজ না করতে। কিন্তু যুদ্ধের সময় এমন পরিস্থিতি তৈরি হতেই পারে। ইসরাইলও কি সবসময় এই কথাই বলে না? তারাও কি বলে না যে তারা এই কাজ (বেসামরিক নাগরিক হত্য) অনিচ্ছাকৃতভাবে করেছে? এদিকে গাজায় নির্বিচার বিমান হামলা চালিয়ে একদিনেই ৪০০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইল। রোববার আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি হামলায় গাজা সিটিতে ২৬০ জন, উপত্যকার মধ্যাঞ্চলীয় দেইর আল-বালাহতে ৮০ জন এবং উত্তরাঞ্চলীয় জাবালেয়া শরণার্থী শিবিরে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৪০ ফিলিস্তিনি। এ ছাড়া বেইত লাহিয়া শহরে ১০ জন এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিসে নিহত হয়েছেন আরও ২০ জন। আলজাজিরা জানিয়েছে, গাজায় ইসরাইলের সাম্প্রতিক অভিযানে এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২১৫ জনে। এদের মধ্যে শিশু রয়েছে অন্তত ৭০০ জন। হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৮ হাজার ৭১৪ ফিলিস্তিনি। এ ছাড়া গত সপ্তাহ থেকে পশ্চিমতীরে ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা অর্ধশত ছাড়িয়েছে।