গোপনে দেশে ফিরেছেন স্বাস্থ্যের সেই বিতর্কিত মিঠু

প্রকাশিতঃ অক্টোবর ১৬, ২০২৩ | ৭:৫৩ পূর্বাহ্ন
অনলাইন নিউজ ডেক্স

কঠোর গোপনীয়তায় সম্প্রতি আমেরিকা থেকে দেশে ফিরেছেন স্বাস্থ্য খাতের বিতর্কিত ঠিকাদার মোতাজ্জেরুল ইসলাম ওরফে মিঠু। দেশে ঢুকেই এখন তার বিপুল অবৈধ সম্পদ বিক্রির চেষ্টা চালাচ্ছেন। সম্পদ বিক্রি করে আবার গোপনেই বিদেশে পাড়ি জমাতে চান। গোয়েন্দা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। স্বাস্থ্য খাতে সব ধরনের টেন্ডার ও কেনাকাটায় একচ্ছত্র আধিপত্য তার। আমেরিকাসহ কয়েকটি দেশেও বিপুল সম্পদ রয়েছে মিঠুর। অর্থ পাচারের একটি অভিযোগ দুদকের অনুসন্ধানে রয়েছে। জানা গেছে, এবার আমেরিকা নয়, দুবাই অথবা মালয়েশিয়াতে আশ্রয় খুঁজতে পারেন মিঠু। গোয়েন্দা সূত্রে আরও জানা গেছে, স্বাস্থ্য খাতে লাগামহীন দুর্নীতি করে রাতারাতি আঙুল ফুলে কলাগাছে পরিণত হন মিঠু। দেশে অবৈধভাবে অর্জিত বিপুল অর্থ বিদেশে পাচার করেন। ২০১৬ সালে ‘ট্যাক্স হ্যাভেন’ হিসেবে পরিচিত দ্বীপ রাষ্ট্রগুলোতে কোম্পানি খোলেন তিনি। দুর্নীতির কারণে পানামা পেপারসে তার নাম উঠেছিল। এই দ্বীপ রাষ্ট্র থেকেই তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নাগরিকত্বের আবেদন করেন এবং বিনিয়োগ কোটায় নাগরিকত্ব পান। তবে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে তার অবৈধ সম্পদের হিসাব নিয়ে ঝামেলা তৈরি হয়েছে বলে জানা গেছে। যে কারণে তিনি প্রভাবশালী একটি মহলের আশ্রয়ে অতি গোপনে দেশে ফেরেন। বর্তমানে রংপুরে তার জায়গা-জমি বিক্রির জন্য কয়েকটি পার্টির সঙ্গে কথাও বলেছেন। শুধু রংপুরেই নয়, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নামে-বেনামে থাকা সম্পত্তি বিক্রির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ভবিষ্যতের যেকোনো ঝুঁকি এড়াতেই অর্থ সম্পদ নিয়ে বিদেশের মাটিতে আশ্রয় চান এই বিতর্কিত ঠিকাদার। সূত্র জানায়, দেশের অর্থ-সম্পদ বিদেশে পাচার ঠেকাতে গোয়েন্দারা সক্রিয় হলেও নানা কৌশলে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছেন মিঠু। এ ক্ষেত্রে তাকে প্রভাবশালী একজন ব্যক্তি ও সরকারি কয়েক কর্মকর্তা সহযোগিতা করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ইতোমধ্যে তার দুর্নীতি নিয়ে দেশের গণমাধ্যমে আমলনামা প্রকাশ পায়। এ ছাড়া গত ২০ আগস্ট তার বিরুদ্ধে প্রায় ৩০০ পৃষ্ঠার দুর্নীতির একটি লিখিত অভিযোগও জমা পড়েছে দুদকে। এতে তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন, ব্যাংকের টাকা নামে বেনামে লোপাট, বিদেশে অর্থ পাচার, দেশের সরকারি হাসপাতালে যন্ত্রপাতি, এমএসআর সামগ্রী সরবরাহের নামে স্বাস্থ্য খাত থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগে যন্ত্রপাতি সরবরাহের নামে কোন হাসপাতাল থেকে কী পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন, তার ফিরিস্তিও প্রকাশ করা হয়। এ সংক্রান্ত ডকুমেন্ট হাতে এসেছে। এসব বিষয়ে বক্তব্য নিতে মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠুর মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।