পাচারের টাকা ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সহযোগিতা করতে বাংলাদেশে অবস্থিত বিভিন্ন দেশের দূতাবাস এবং সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছে চিঠি দিয়েছে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। ইমেইলের মাধ্যমে ২০টির মতো দূতাবাসে এবং অর্থ পাচার নিয়ে কাজ করা কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছে ওই চিঠি দেওয়া হয়। রোববার দলটির জাতীয় নির্বাহী কমিটির মিডিয়া ও প্রচার সমন্বয়ক সৈয়দ হাসিবউদ্দীন হোসেন স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বিভিন্ন দেশের অবৈধ অর্থ পাচার এবং আত্মসাৎ নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান আমেরিকার ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংকট্যাংক গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউট ২০১৩, ২০১৫ এবং ২০১৮ সালে দেশের সম্ভাব্য পাচার নিয়ে তিনটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল। তাদের হিসাবে ২০০৬ থেকে ২০১৫ এই ১০ বছরে প্রায় ৬২ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে বলে তারা অনুমান করেছিল। সেই হিসাব অনুযায়ী এ ধারা অব্যাহত থাকলে ২০২৩ নাগাদ প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে ১৪ বিলিয়ন ডলার পাচার হওয়ার কথা। দেশে একটা ‘ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট’ আছে। যাদের দেশের পাচার বন্ধে কাজ করার কথা, তারা ২০১৮ সালের রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানির তথ্য জিএফআইকে সরবরাহ করা বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে জিএফআই থেকে আর কোনো হিসাব পাওয়া যায়নি।