র্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে সহিংসতামুক্ত নির্বাচন করতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে বলে যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। সোমবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান। এর আগে এদিন দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তর আমেরিকা অনুবিভাগের মহাপরিচালক খন্দকার মাসুদুল আলমের সঙ্গে ঢাকায় সফররত মার্কিন ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আক্তারের বৈঠক হয়। পরে আফরিন আক্তারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন পররাষ্ট্র সচিব। র্যাবের ওপরে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি আলোচনায় এসেছে জানিয়ে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘র্যাবের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিষয়ে আমাদের যে প্রচেষ্টা, সেটি অব্যাহত রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টে আইনজীবীর মাধ্যমে ইতোমধ্যে আমাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছি।’ প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে র্যাব ও সংস্থাটির ছয় জন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘র্যাবকে সংস্কারের যে বিষয়গুলো আছে সেগুলো করতে সময় লাগবে। যদি কেস বাই কেস ভিত্তিতে (নিষেধাজ্ঞা) তুলে নেওয়া হয়, তাহলে আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সক্ষমতা আরও বাড়বে এবং যে সহিংসতামুক্ত নির্বাচনের কথা বলা হচ্ছে, সে ক্ষেত্রে হয়তো ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।’ যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষক যুক্তরাষ্ট্রের এনডিআই ও আইআরআই প্রতিনিধি দল নির্বাচন পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার জন্য সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করে গেছে। পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘আমরা শুধু বলেছি যে, যদি এনডিআই ও আইআরআই তাদের নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠায়, তবে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যতটুকু সহায়তা করার দরকার, সেটি করতে আমরা প্রস্তুত।’ এনডিআই ও আইআরআই প্রতিনিধি দল তাদের সফর শেষে গত শনিবার (১৪ অক্টোবর) একটি বিবৃতি প্রকাশ করে। ওই বিবৃতিতে তারা পাঁচ দফা সুপারিশ করেছে। মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘তারা (যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল) যে সুপারিশগুলো দিয়েছে— সে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানও অনেকটা একই রকম। তারা চাইছে, আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হোক এবং সেটি যেনো সহিংসতামুক্ত হয়। যুক্তরাষ্ট্র তাদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে।’ এনডিআই ও আইআরআই প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সেখানে দীর্ঘ আলোচনা হযেছে। প্রধানমন্ত্রী সরকারের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন। সরকারের যে প্রতিশ্রুতি আছে, অর্থাৎ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার, সেটি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।’