হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সব থেকে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয়া দুর্গাপূজা। আর এ দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা।পূজা শুরুর আগেই দেবী দুর্গাকে পরিপূর্ণ রূপে মন্ডপে তোলার জন্য দিন-রাত এ কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। প্রতিমা তৈরীর কাঠামো মাটির কাজ শেষ শুরু হয়েছে রং ও সাজ- সজ্জার কাজ। সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায় আড়পাড়া ইউনিয়নের কয়েকটি পূজা মন্ডবে দেবী দুর্গা ও তার বাহক সিংহের প্রতিমাসহ তৈরি করা হয়েছে মহিষাসুরের প্রতিমা। এছাড়াও দেবী লক্ষী, সরস্বতী, দেব কার্তিক,গণেশ ও তাদের বাহক ইঁদুর, হাঁস, আর ময়ূর। সবার উপরে রেখেছে মহাদেবের প্রতিমা। শালিখা উপজেলার চুকিনগর গ্রামের মৃৎশিল্পী নিরাঞ্জন সরকার ও দরিশলই গ্রামের মৃৎশিল্পী (ভাস্কর) নির্মল কুমার পাল জানান, কয়েক মাস ধরে তারা দেবী দুর্গার প্রতিমা তৈরির কাজ করছেন। শুধু জীবন জীবিকা নির্বাহের জন্য এ কাজ করছেন না প্রতিমা তৈরিতে রয়েছে তাদের শিল্প সংস্কৃতি, ধর্মীয় অনুভূতি, ভক্তি আর ভালোবাসা। মৃতশিল্পী নির্মল কুমার পাল জানান, দুর্গা উৎসব উপলক্ষে প্রতিবছর সাত থেকে আটটি প্রতিমা তৈরি করেন তিনি কিন্তু এবার রং ও সাজ-সজ্জার দাম বৃদ্ধি জন্য পূজা মন্ডপের সংখ্যা কম হলেও তিনি উপজেলার দরিশলই, শতখালী, চুকিনগর,পার্শ্ববর্তী উপজেলার বাঘারপাড়া খাজুরা, নারকেলবাড়িয়া, মাজাইল, সহ মোট ছয়টি পূজা মন্ডপে প্রতিমা তৈরীর কাজ করছেন বলে জানান। আগামী ২০ অক্টোবর (শুক্রবার) শুরু হবে পূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা। আর এ দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মাঝে শুরু হয়েছে দেবী দুর্গা আগমনের প্রহর গুনা, চলছে পূজা মন্ডপের সাজ -সজ্জার কাজ। শালিখা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সিতান চন্দ্র বিশ্বাস জানান, এবার দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মাঝে উৎসব উদ্দীপনার কমতি নেই গত বছরের তুলনায় এবার পূজায় আমেজ একটু বেশি থাকবে এমনটাই মনে করছেন তিনি। এবার শালিখা উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে ধনেশ্বরগাতী ২৮টি, তালখড়ি ২৮টি, আড়পাড়া ২৪টি,শতখালী ১২টি, শালিখায় ১৩টি, বুনাগাতী ৪৫টি,গঙ্গারামপুর ১৮টি, মোট ১৬৮টি পূজা মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে জানান।