প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আপনাদের জন্য উপহার নিয়ে এসেছি। ‘দইজ্জার তল দিয়ে গাড়ি চলে’। নদীর তল দিয়েই গাড়ি চলাচল করবে। এই যে দইজ্জার তল দিয়ে গাড়ি চলার ব্যবস্থা, এটা হল টানেল। যত বেশি ব্রিজ করব, তত নদী ভাঙন বাড়বে। সেজন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি, নদীর তল দিয়ে টানেল করে দেব। শনিবার সকালে পতেঙ্গায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। তারপর টানেল পার হয়ে নদীর দক্ষিণ তীরে আনোয়ারায় গিয়ে আওয়ামী লীগের জনসভায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৩.৩১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই টানেল কেবল ঢাকা-চট্টগ্রাম না, সমগ্র বাংলাদেশের আঞ্চলিক যোগাযোগে ‘বিরাট ভূমিকা রাখবে’ বলে আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় এতবড় টানেল এই প্রথম। বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণে সহযোগিতা দেওয়ায় চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে তিনি ধন্যবাদ জানান। শেখ হাসিনা বলেন, ‘চীন সফরে গিয় তাদেরকে বলেছিলাম, সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদেরর সরকারের লক্ষ্য, দেশ আরো উন্নত হোক। কক্সবাজার যেতে বহুত সময় লাগত, আজ এত সময় লাগবে না। ঢাকা থেকে এসে এখন চট্টগ্রাম শহরের ভেতরে ঢুকে যানজটে পড়তে হবে না। এশিয়ার হাইয়ের সঙ্গে সংযুক্ত করব, যা আমাদের উন্নয়নের অবদান রাখবে। এসময় প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতায় স্বাধীনতা সংগ্রামে চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগ নেতাদের ভূমিকার স্মরণ করেন।