রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে শামীম মোল্লা নামে যুবদলের এক নেতা নিহত হয়েছেন। শনিবার বিকালে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রাজারবাগ পুলিশ লাইন হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়। শামীম মোল্লা মুগদা থানা যুবদলের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের এক নম্বর ইউনিটের সভাপতি। বাবার নাম ইউসুফ মোল্লা। শনিবার সন্ধ্যায় বিএনপি মিডিয়া সেলের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এতে জানানো হয়, বিএনপির শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন যুবদল নেতা শামীম মোল্লা (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুগদা থানা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী জুয়েল। শামীম মোল্লা মুগদা থানা যুবদলের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের এক নম্বর ইউনিটের সভাপতি। বর্তমানে তার লাশ রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতালে রয়েছে। এদিকে বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে পুলিশের এক সদস্য নিহত হয়েছেন। শনিবার বিকাল ৪টার দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, নিহত ওই পুলিশ সদস্য দৈনিক বাংলা মোড় এলাকায় দায়িত্বরত ছিলেন। বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে তিনি আহত হয়েছিলেন। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) জানায়, বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে পুলিশের আরও ৪১ সদস্য আহত হয়েছেন। আহত পুলিশ সদস্যদের ঢাকা মেডিকেল ও রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ডিএমপির উপকমিশনার (মিডিয়া) ফারুক হোসেন বলেন, ‘ওই পুলিশ সদস্যের মাথায় কোপানো হয়েছে।’ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, মৃত অবস্থাতেই ওই পুলিশ সদস্যকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। তার মাথায় গুরুতর আঘাত রয়েছে। আমরা ইসিজি করার পর নিশ্চিত হয়ে তাকে মৃত ঘোষণা করেছি।’