ব্যারিস্টার রুমিনের ফোনে মেসেজ ‘সাবধানে বাসায় আসবেন!’

প্রকাশিতঃ নভেম্বর ১, ২০২৩ | ৫:২৮ অপরাহ্ন
অনলাইন নিউজ ডেক্স

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ২৮ অক্টোবরের কর্মসূচি ঘিরে দেশের রাজনীতির মাঠ ছিল উত্তপ্ত। পর দিন বিএনপির মহাসচিবসহ অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেফতারের পর ‘আগুনে ঘি ঢালার মতো রাজনৈতিক পরিবেশ আরও ফুঁসে উঠেছে। একদিকে চলছে দেশজুড়ে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতার। অন্যদিকে প্রতিবাদে টানা তিন দিনের মতো হরতাল-অবরোধের কর্মসূচি পালন করছে বিএনপির ও সমমনা দলগুলো। বর্তমান দেশের রাজনীতির সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে সম্প্রতি টেলিভিশন টকশোতে অংশ নেন সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহসম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। টকশোর একপর্যায়ে উপস্থাপকের পক্ষ থেকে ব্যারিস্টার রুমিনের কাছে জানতে চাওয়া হয়, টেক ব্যাকের নামে বিএনপি সন্ত্রাসী সংগঠনে পরিণত হয়েছে কিনা? জবাবে ব্যারিস্টার রুমিন বলেন, আমি এখন আপনার টকশোতে কথা বলছি, ঠিক সেই মুহূর্তে আমার বাসার নিচে ১০০ জনের মতো আওয়ামী গুণ্ডা জড়ো হয়েছে। যারা বীভৎস ভাষায় গালাগাল করছে। আমার বাসার দিকে ইঙ্গিত করে। আমাকে এই মাত্র বাসার লোকজন ভিডিও করে পাঠাল। একই সঙ্গে আমাকে মেসেজ দিল— আপনি সাবধানে বাসায় আসবেন। এই হচ্ছে আওয়ামী লীগ। তিনি বলেন, তারা আমাদের মহাসচিবকে গ্রেফতার করেছে। শুধু তাই নয়, শীর্ষপর্যায়ের নেতাকর্মীদের বাড়ি তল্লাশি করে তছনছ করেছে এবং তাদের না পেয়ে আত্মীয়স্বজনদেরও গ্রেফতার করছে। যারা কোনো দিন রাজনীতিতে জড়িত ছিল না। আমি একজন নারী রাজনৈতিক কর্মী। আমার বাসার নিচে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নোংরা ভাষায় গালাগাল করছে— এটা কোনো সভ্য দেশের রাজনীতি? টকশোর একপর্যায়ে উপস্থাপক বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে— সহিংসতায় যারা জড়িত শুধু তাদেরই গ্রেফতার করা হচ্ছে। জবাবে রুমিন ফারহানা বলেন, তা হলে তো আগে আওয়ামী লীগের সবাইকে গ্রেফতার করা উচিত। হামলা হয়েছে পুলিশের হাসপাতালে অর্থাৎ পুলিশের জায়গায়, পুলিশের যে গাড়িতে রিকুইজেশন দেওয়া ছিল, সেই গাড়িতে। গাড়ির ড্রাইভার বলছে— ডিবির পরিহিত পোশাকে আগুন লাগিয়েছে। যা কিছু বহন করার, সব সুযোগ পেয়েছে আওয়ামী লীগ। কারণ আওয়ামী লীগের কোনো গাড়ি বা বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়নি। কিন্তু বিএনপির ক্ষেত্রে মোড়ে মোড়ে, বাড়ি বাড়ি, কোনায় কোনায় তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। তা হলে বিএনপির কি করে সংঘর্ষের জিনিস নেবে। পুলিশ পিটিয়েছে কে? সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালিয়েছে কে? একজন সাংবাদিক পুলিশের টিয়ারশেলের আঘাতে মারা গেলে তার ব্যাপারে তো কোনো কথা নেই। তিনি আরও বলেন, খুব অদ্ভুদ কাণ্ড— যুবলীগের কর্মীকে বিএনপির মহাসমাবেশে পাওয়া গেছে। তা হলেই বিষয়টি বুঝে নেন। এগুলো ঘটনা কারা ঘটিয়েছে। ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত।