সেই সারওয়ার্দীকে ১০ দিনের রিমান্ডে পেতে চায় পুলিশ

প্রকাশিতঃ নভেম্বর ১, ২০২৩ | ৫:৩৩ অপরাহ্ন
অনলাইন নিউজ ডেক্স

বিতর্কিত সেই অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল হাসান সারওয়ার্দীকে ১০ দিন রিমান্ডে পেতে চায় পুলিশ। বুধবার দুপুরে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করে এই রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার পল্টন থানার মামলায় চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীকে সাভার থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কথিত উপদেষ্টা মিয়া আরেফিকে গত শনিবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সঙ্গে করে নিয়ে যান হাসান সারওয়ার্দী। পরে মিয়া আরেফিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গতকাল গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চৌধুরী সারওয়ার্দীর বিষয়ে জানতে চান এক সাংবাদিক। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাকে ছাড়া হবে না। ইতিমধ্যে নির্দেশ দিয়েছি, গ্রেফতার করা হবে। তাকে খোঁজ করা হচ্ছে। তাকে ঠিকই ধরা হবে এবং জিজ্ঞেস করা হবে, সে কেন এ রকম ফ্রড করল।’ প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরপরই সারওয়ার্দীকে গ্রেফতারের খবর জানা যায়। গোয়েন্দা কর্মকর্তা মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, মিথ্যা পরিচয় দিয়ে অন্যের রূপ ধারণ করে বিশ্বাস ভঙ্গের অভিযোগে করা পল্টন থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিকে লে. জেনারেল (অব.) হাসান সারওয়ার্দীকে গ্রেফতারের বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, একজন মানুষ যখন অপরাধ করে তখন তার পরিচয় কী, সেটি বিবেচ্য নয়। আমাদের কাছে বিবেচ্য হলো তিনি একজন অপরাধী। তাকে আইনের হাতে তুলে দেওয়া পুলিশের কর্তব্য। ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হওয়ার পর নয়াপল্টনের দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হাজির হন মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফীর (মিয়ান আরেফি) নামের এক ব্যক্তি। সেখানে নিজেকে জো বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এ মার্কিন নাগরিক। এ পরিচয়ে তিনি বিএনপি পার্টি অফিসে সাংবাদিকের ব্রিফ করেন। সারওয়ার্দীই তাকে বিএনপি অফিসে নিয়ে যান বলে বিভিন্ন সূত্র জানায়। বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই নামে জো বাইডেনের কোনো উপদেষ্টা নেই। বিএনপির পক্ষ থেকেও বলা হয়, তারা অরেফিকে চেনেন না। পরদিন যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার উদ্দেশে হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গেলে সেখান থেকে তাকে গ্রেফতার করে ডিবি। পরে আরেফি এবং সারওয়ার্দীর বিরুদ্ধে পল্টন থানায় একটি মামলা করা হয়।