ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ নিয়ে সাম্প্রতিক মন্তব্যের পর হলিউড অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলিকে তিরস্কার করেছেন ইসরাইলি প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগ। পিয়ার্স মরগানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হারজগ বলেছেন, আক্রমণের প্রথম দিন কী ঘটেছিল এবং কীভাবে এটি ‘জাতি হিসেবে সবচেয়ে খারাপ নৃশংসতা’ ছিল তা তিনি ব্যক্তিগতভাবে প্রত্যক্ষ করেছেন। এনডিটিভি বলছে, অ্যাঞ্জেলিনা জোলি সম্প্রতি তার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে ইসরাইল-বিরোধী অবস্থান সম্পর্কে পোস্ট করেছিলেন। জাতিসংঘের দূত হিসেবে কাজ করার সময় উদ্বাস্তুদের সাহায্য নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ জোলি বলেছিলেন, তার ফোকাসের (গুরুত্ব) বিষয় হলো- যে কোনো প্রেক্ষাপটে সহিংসতার দ্বারা বাস্তুচ্যুত লোকদের বিষয়ে। হলিউড তারকা আরও বলেছেন, ইসরাইলে (হামাসের হামলা) যা ঘটেছে তা একটি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। কিন্তু এটি গাজার বেসামরিক জনসংখ্যার বোমাবর্ষণে হারিয়ে যাওয়া নিরীহ প্রাণকে ন্যায্যতা দিতে পারে না, যাদের কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই, খাবার বা পানির কোনো অ্যাক্সেস নেই, সরিয়ে নেওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই এবং এমনকি আশ্রয় নেওয়ার জন্য সীমান্ত অতিক্রম করার মৌলিক মানবাধিকার নেই। তিনি লিখেছেন, ইসরাইলের বিমান হামলার ফলে গাজা ‘দ্রুত একটি গণকবরে পরিণত হচ্ছে’ এবং বিশ্ব দেখছে যে লক্ষ লক্ষ ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিক- শিশু, মহিলা এবং পরিবার- সম্মিলিতভাবে শাস্তি পাচ্ছে। গাজা উপত্যকায় সাম্প্রতিক ইসরাইলি হামলার একটি ছবিও পোস্ট করেছেন এই মার্কিন অভিনেত্রী। এর প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইলি প্রেসিডেন্ট সাক্ষাৎকারে বলেছেন, জোলি গাজা সফর করেননি এবং তিনি তার মন্তব্যে ইসরাইলিদের আত্মরক্ষা করার অধিকারের বিষয়টি স্বীকার করেননি। ‘আমি তার দাবি সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যান করি। আমার মনে হয়, তিনি কখনোই গাজা পরিদর্শন ও বাস্তবতা দেখতে সেখানে ছিলেন না। গাজায় এখন যুদ্ধ চলছে, কিন্তু এমন কোনো মানবিক সংকট নেই; যা থেকে তারা নিজেদের রক্ষা করতে সক্ষম না,‘ বলেন হারজগ।