পূর্ণবয়স্কদের মধ্যে প্রতি দশজনে একজন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত

প্রকাশিতঃ নভেম্বর ১২, ২০২৩ | ৯:০৪ পূর্বাহ্ন
অনলাইন নিউজ ডেক্স

বিশ্বব্যাপী ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যার ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধি, ডায়াবেটিসজনিত স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা এবং এতে মৃত্যু বেড়েই চলছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোয় ডায়াবেটিক রোগী উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের চিত্র আরও ভয়ংকর। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বে পূর্ণবয়স্কদের মধ্যে প্রতি দশজনে একজন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। যাদের ৯০ শতাংশই ডায়াবেটিস-২ আক্রান্ত। এই রোগীদের অর্ধেকই আবার শনাক্তের বাইরে। প্রাথমিক পর্যায়ে ডায়াবেটিস এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিসের শনাক্তকরণ, দেরিতে চিকিৎসা গ্রহণের কারণে জটিলতা আরও বাড়ছে। রোগটি নিয়ন্ত্রণে শনাক্তের পর সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনা জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস-২০২৩ উপলক্ষ্যে শনিবার বাংলাদেশ এন্ডোক্রাইন সোসাইটির উদ্যোগেঅনুষ্ঠিত ‘ডায়াবেটিস : আপনার ঝুঁকি ও করণীয় জানুন’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন। বৈঠকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলমের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ এন্ডোক্রাইন সোসাইটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও বারডেমের পরিচালক (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. ফারুক পাঠান। এছাড়াও সোসাইটির সভাপতি (নির্বাচিত) ও ইউনাইটেড হাসপাতালের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট অধ্যাপক ডা. মোহাম্মাদ হাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমএইউ) এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাহজাদা সেলিম, সহসভাপতি ও বারডেমের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফারিয়া আফসানা, বৈজ্ঞানিক ও গবেষণা সম্পাদক ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. এম সাইফুদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক ও বিএসএমএমইউ-এর এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মারুফা মোস্তারী, সহসভাপতি ও বারডেমের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. ফিরোজ আমিন, নির্বাহী কমিটির সদস্য ও নিটোরের (পঙ্গু হাসপাতাল) এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. আফসার আহম্মাদ মেরাজ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. এসএম মহিউদ্দীন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. আহমেদ ইফরাদ বিন রউনাক, নির্বাহী ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মির্জা শরিফুজ্জামান, ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সুলতানা মারুফা শেফিন, ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক আশরাফ উদ্দিন আহমেদ, যুগান্তরের প্রধান প্রতিবেদক মাসুদ করিম ও সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার আবুল খায়ের চৌধুরী। বৈঠকে সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন যুগান্তরের স্বাস্থ্য পাতার বিভাগীয় সম্পাদক ডা. ফাহিম আহমেদ রুপম। আয়োজনটির সহযোগিতা করেছে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি লিমিটেড। অধ্যাপক ডা. ফারুক পাঠান বলেন, ১৪ নভেম্বর বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত হতে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিক ফেডারেশন (আইডিএফ) দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘নো ইয়োর রিস্ক, নো ইয়োর রেসপন্স’ অর্থাৎ ‘ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে আপনার ঝুঁকি জানুন এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিন।’ তিনি বলেন, ডায়াবেটিসের কিছু ঝুঁকি পরিবর্তন করা যায় এবং কিছু যায় না। সারা বিশ্বেই রোগটি আছে। এই উপমহাদেশে প্রকোপ কিছুটা বেশি। কারও পরিবার, আত্মীয়স্বজন এবং বংশে ডায়াবেটিস থাকলে সেক্ষেত্রে অন্যরা কায়িক পরিশ্রম না করলে, ওজন ও মেদ বাড়লে আক্রান্তের ঝুঁকিতে থাকেন। এছাড়া হার্টের রোগী, উচ্চরক্তচাপে ভুগছেন, কোলেস্টরেল বেশি, ধূমপায়ী, শরীরে ইনুসলিনের কার্যক্ষমতা কম; তারা বেশি ঝুঁকিত ...