শালিখায় আমন ধানের ভালো ফলন হলেও দাম নিয়ে শঙ্কায় কৃষকেরা

প্রকাশিতঃ নভেম্বর ২৭, ২০২৩ | ৫:৩৩ অপরাহ্ন
মোঃ কুতুবুল আলম শানু, শালিখা উপজেলা প্রতিনিধি, মাগুরা

মাগুরার শালিখায় এবার আমন ধানের ভাল ফলন হলেও খরচে তুলনায় দাম কম। উপজেলায় প্রায় ৯৮ ভাগ আমন ধান সংগ্রহ সম্পন্ন হয়েছে। নতুন ধান বাজারে বিক্রি শুরু হলেও ভালো দাম না পাওয়ায় উৎপাদন ব্যয় উঠবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কায় আছেন কৃষকেরা। কৃষি বিভাগ বলছে এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা গেলে আগামীতে আমন চাষ আরো বাড়বে। উপজেলা সরকারি কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলায় আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল, ১৪,৫৫০ হেক্টর । আবাদ হয়েছে ১৪,৫৮০ হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩০হেক্টর বেশি জমিতে আবাদ হয়েছে। বর্তমান সরকার আমন ধানের চাষ ভালোভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রণোদনার মাধ্যমে কৃষকদের উৎসাহিত করতে উপজেলায় ৩ হাজার কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে উন্নত জাতের বীজ ধান ও বিভিন্ন প্রকার রাসায়নিক সার বিতরণ করা হয়েছে। সরে জমিনে উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা যায়, মৌসুমের শেষ সময়ে ফসল তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষক। কেউ ধান কাটছে কেউ ধানের আঁটি বাঁধছে। আবার কেউ গাড়িতে করে ধান নিয়ে বাড়িতে যাচ্ছে। অনেকে ব্যস্ত রয়েছে ধান মাড়াই করার কাজে। সকাল থেকে এভাবেই ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক -কিষাণীরা। তবে কৃষকেরা অনেকেই বলছেন এ বছরে আমন ধানের ফলোন ভালো হলেও সার, কীটনাশক, ধান কাটার শ্রমিকসহ অন্যান্য খাতে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় হয়েছে, ফলে খরচের তুলনায় ধান বিক্রিতে যে দাম পাচ্ছে তাতে লাভ তো দূরে থাক উৎপাদন খরচ উঠবে কিনা তা নিয়ে সঙ্কায় তারা। উপজেলার আড়পাড়া ইউনিয়নের দরিশলই গ্রামের কৃষক বজেন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, কৃষি অফিসের পরামর্শ অনুসারে ধান চাষ করেছি ভালো আবহাওয়ার জন্য ধানের ফলোন ও ভালো হয়েছে কিন্তু চাষের টাকা, স্যার, ওষুধ ও কৃষি শ্রমিকের দাম মিটিয়ে ধান বিক্রিতে কোন লাভ হবেনা, নিজের জমি তাই বাধ্য হয়ে চাষ করি। আড়পাড়া গ্রামের লালমিয়া বেপারীসহ উপজেলার বেশ কিছু কৃষক জানান,আমন ধান চাষে খরচের তুলনায় লাভ হচ্ছে না তাদের,তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধান চাষের ক্ষতি পোষাতে আগাম ধান কেটে সরিষার চাষে ভালো ফলনের আশা দেখছেন অনেকে। এদিকে আমনের ফলোন ভালো হয়েছে দাবি করে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ আলমগীর হোসেন জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবছর লক্ষ্যমাত্রা থেকে ৩০ হেক্টর জমিতে বেশি আমন আবাদ হয়েছে। উপজেলায় আমন ধানের মৌসুমে সরকারি পর্যায়ে ধান ক্রয় শুরু হয়েছে। অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করে কৃষকরা ধান বিক্রি করতে পারবেন। কৃষকরা যাতে ধানের ন্যায্য মূল্য পায় সেজন্য আমরা সরকারি গোডাউনে ধান বিক্রি করার পরামর্শ দিচ্ছি।