যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ পরামর্শ দিলে তা গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হয় বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র একটি পরাশক্তি। তাই আমরা তাদের উপেক্ষা করতে পারি না এবং করিও না। আমরা তো এজন্য তাদের পরামর্শকে অত্যন্ত গুরত্বসহকারে গ্রহণ করি। সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায় উল্লেখ করে আব্দুল মোমেন বলেন, আমরাও তা চাই। তারা আমাদের সাহায্য করছে। আমরা নিজেরা একটা সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন চাই। আমরা যদি এটা করি, আমেরিকা আমাদের সঙ্গে থাকবে। তারা আমাদের বন্ধু দেশ। শুধু নির্বাচন নয়, তাদের সঙ্গে আমাদের বিভিন্ন রকম সম্পর্ক আছে। আমেরিকা সব সময় বাস্তববাদী। তিনি বলেন, বরং আমরা তাদের (যুক্তরাষ্ট্র) বলব, যারা নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করছে, তাদের তারা ভিসা পলিসির মধ্যে ঢুকাক। তারা তাদের যা করার করুক– নির্বাচনে যারা বাধা দেবে। আমরা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে নষ্ট করতে চাই না। আমেরিকা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। আমরা তাদের সঙ্গে আছি, তারা আমাদের সঙ্গে আছে। বাংলাদেশের যারা বন্ধু রাষ্ট্র, তারা বিভিন্ন সময়ে নানা বিষয়ে উপদেশ দেয় উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অন্যের যদি ভালো উপদেশ থাকে স্বচ্ছ, সুন্দর নির্বাচনের জন্য আমরা সেটা গ্রহণ করি। আমরা তা স্বাগত জানাই। আমরা তো পণ্ডিত না। যারা মাতব্বরি করবে আমরা তাদের সহ্য করব না। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জনগণের যদি সম্পৃক্ততা থাকে, জনগণ যদি ভোট দেয় তাহলে সেটা অংশগ্রহণমূলক। আমাদের প্রায় নির্বাচনে শতকরা ৫০ ভাগ লোক ভোট দেয়। আমেরিকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সবসময় নির্বাচন হয়। সিনেটর কেনেডি, সিনেটর জন কেরি তাদের বিরুদ্ধে কেউ দাঁড়ায় না। সম্মানিত লোকের বিরুদ্ধে কেউ দাঁড়ায় না।