কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার) আসনের সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের গত ১০ বছরে সম্পদ বেড়েছে পাঁচগুণ। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী। রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের তিনটি নির্বাচনের হলফনামা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া যায়। ২০১৪ সালে রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের বার্ষিক আয় ছিল ১২ লাখ ৫২ হাজার ২৪০ টাকা। বর্তমানে তার বার্ষিক আয় দাঁড়িয়েছে ৭৮ লাখ ১৫ হাজার ৭৯৪ টাকায়। ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুদফায় এমপি নির্বাচিত হওয়ার আগে তিনি দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনি হলফনামায় তার ৯০ লাখ ৯৩ হাজার ৫২৮ টাকার সম্পদের উল্লেখ করা হয় এবং ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আয় বেড়ে দাঁড়ায় ২ কোটি ১৬ লাখ ৮ হাজার ২১৬ টাকায়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনি হলফনামা অনুসারে গত ১০ বছরে তার সম্পদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৯০ লাখ ৪৫ হাজার ৫৩ টাকায়। এছাড়া দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার নির্ভরশীল ব্যক্তিদের নামে কোনো টাকা না থাকলেও বর্তমানে আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৭৮ লাখ ৫২ হাজার ১০৫ টাকা। রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের স্ত্রীর নামে ২৫ ভরি স্বর্ণ ও ১ লাখ টাকার আসবাবপত্র থাকলেও নিজের নামে নেই কোন আসবাবপত্র বা স্বর্ণ। রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের দ্বাদশ নির্বাচনের হলফনামা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তার বার্ষিক আয় ৭৮ লাখ ১৫ হাজার ৭৯৪ টাকা। সংসদ-সদস্য হিসাবে সম্মানী ভাতা ২২ লাখ ৮৭ হাজার ৫০০ টাকা, ব্যবসা থেকে ৪৩ লাখ ৩ হাজার ৮৮৭ টাকা, চাকুরী থেকে ১২ লাখ, ব্যাংক ও ডিপিএস সুদ ২৪ হাজার ৪০৭ টাকা তিনি আয় করেছেন। নিজের নামে নগদ রয়েছে ৬৬ লাখ ৯৭ হাজার ৩৭৬ টাকা। তার ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা আছে ৫ লাখ ৩০ হাজার ৭৯ টাকা, ডিপিএস রয়েছে ১০ হাজার, আয়ুর্বেদীয় ফার্মেসিতে আছে ১৮ লাখ ৫৪ হাজার ৫৩০ টাকা, এপি ঢাকা লিমিটেডে আছে ৪০ হাজার টাকা, মুন্সী এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডে আছে ১০ লাখ টাকা, মুন্সী করপোরেশন লিমিটেডে আছে ৯৮ হাজার টাকা, এপি কনজুমার প্রা. লিমিটেডে আছে ১ লাখ টাকা, টিউন বাংলাদেশ লিমিটেডে আছে ২ লাখ টাকা, ইন্টারন্যাশনাল সু-কোং লিমিটেডে আছে ৮০ হাজার টাকা, এমবিএম বাংলাদেশে লিমিটেডে আছে ২ লাখ টাকা, ব্লু ওয়াটারর্স হোল্ডিং লিমিটেডে আছে ৪ লাখ ১৪ হাজার ৬০০ টাকা, পোস্টাল সেভিং সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্রে বা স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ ২০ লাখ ৪৯ হাজার ১৫২ টাকা, বাস, ট্রাক, মোটরগাড়ি ও মোটরসাইকেল ইত্যাদির বিবরণীতে রয়েছে ১ কোটি, ৬৯ লাখ, ২০ হাজার ৫১৭ টাকা, ইলেকট্রনিক সামগ্রী রয়েছে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা, এপি প্লাস্টিকে আছে ১৩ লাখ ৭১ হাজার ২ টাকা, এসআর এক্সপোর্টে আছে ১৭ লাখ ৮৭ হাজার ৬৩০ টাকা, এসআর রেন্টাল্সে আছে ৯৮ লাখ ১৩ হাজার ৩৩৩ টাকা, ফিসিং প্রজেক্টে আছে ৬৫ লাখ ২৬ হাজার ৮০০ টাকা। পাশাপাশি স্থাবর সম্পদ হিসেবে নিজের নামে অকৃষি জমি রয়েছে ১৭.৭৫ কাঠা, যার মূল্য ১৩ লাখ ৪৬ হাজার ২৪০ টাকা। এছাড়া রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তির বার্ষিক আয় রয়েছে ৪১ লাখ ২১ হাজার ৯৩৯ টাকা। তার মধ্যে বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট/ দোকান বা অন্যান্য ভাড়া ১ লাখ ৭৫ হাজার ৫০০ টাকা, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত ৫ লাখ ১৮ হাজার ৪০০ টাকা, চাকুরী থেকে ৩০ লাখ ৯০ হাজার ৫৪৩ টাকা, ব্যাংক ও ডিপিএস সুদ ৩ লাখ ৩৭ হাজার ৪৯৬ টাকা। স্ত্রীর নামে নগদ টাকা রয়েছে ৮৫ লাখ ৫৫ হাজার ৪৬ টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা আছে ৫ লাখ ৪ হাজার ৩৪৯ টাকা, পোস্টাল সেভিং সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয় পত্রে বা স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ ২ কোটি ১৩ লাখ ৩৮ হাজার ৮৫২ টাকা, বাস/ট্রাক/মোটরগাড়ি ও মোটরসাইকেল ইত্যাদির বিবরণীতে রয়েছে ২৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা, স্বর্ণ রয়েছে ২৫ ভরি, ইলেকট্রনিক সামগ্রী রয়েছে ৩ লাখ ৯১ হাজার ৯১৯ টাকা, আসবাবপত্র রয়েছে ১ লাখ টাকার এবং হেবাসূত্রে প্রাপ্ত দালান (আবাসিক বা বাণিজ্যিক) রয়েছে ১.৫০০ স্কয়ার ফিট।