বাল্কহেডের ধাক্কায় যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবে দুই শিশু নিহত নিখোঁজ অনেক।

প্রকাশিতঃ ডিসেম্বর ১৬, ২০২৩ | ১১:২০ অপরাহ্ন
অনলাইন নিউজ ডেক্স

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার পদ্মা নদীর হাসাইল গুদাড়াঘাটে যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবে দুই শিশু নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরো কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছে বলে স্বজনরা জানিয়েছেন। নিহত দুই শিশু হলো ফাইজা (৬) ও শিপ্রা (১৫)। নিহত ফাইজা নারায়নগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার কানিপুরা গ্রামের ফারুক এর মেয়ে। অপর নিহত শিপ্রা টঙ্গিবাড়ী উপজেলার মান্দ্রা গ্রামের নজরুল বেপারীর মেয়ে।জানাগেছে, টঙ্গিবাড়ী উপজেলার হাসাইল হতে নদীর এপার ওপার খেয়াপার করে মোস্তফা নামের ব্যাক্তির ট্রলার। প্রতিদিন ভোর হতে রাত প্রর্যন্ত এ খেয়া ঘাটে যাত্রী পারাপার করা হয়। আজ শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধা ৬টার দিকে হাসইল নদী ঘাটের অপর প্রান্ত হতে ৪৫/৫০জন যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি চালিয়ে আসছিলা ট্রলার চালক আলামিন। এ সময় বালুবাহী একটি বাল্কহেড ট্রলারটির উপর দিয়ে উঠিয়ে দিলে যাত্রীসহ ট্রলারটি ডুবে যায়।এ ব্যাপারে টঙ্গিবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ সাইদুর রহমান বলেন, ট্রলারডুবির ঘটনার আমাদের এখানে এখোন পর্যন্ত ৫/৬ জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। এদের মধ্যে দুই শিশুকে হাসপাতালে আনার আগেই তারা মারা গেছে।ওই ট্রলারের যাত্রী শরিয়তপুর জেলার মোঃ রাজিব বলেন, আমি ও আমার কয়েকজন বন্ধু মিলে শরিয়তপুর হতে ট্রলারে পার হয়ে টঙ্গিবাড়ী বাজারে মার্কেট করতে আসছিলাম। আমাদের ট্রলারে ৪০/৬০জন যাত্রী ছিল। সন্ধার একটু পরে নদীতে আমাদের ট্রলারটিকে বাল্কহেডে ধ্বাক্কা দিলে আমাদের ট্রলারটি ডুবে যায় আমি বাল্কহেডের নিচে তলিয়ে যাই । পরে অনেক কষ্ট করে ডুব দিয়ে বের হইছি। এ সময় অন্য একটি ট্রলার আমাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসে।নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক এক নারী বলেন, তিনি তার স্বামী রানা ও তার আরো ৪জন আত্নীয় নিয়ে ঢাকা হতে পদ্মা নদী পারি দিয়ে হাসাইলের ওপারে পদ্মা চরে ঘুরতে গিয়েছিলেন। ঘুরে ফেরার পথে ট্রলার পার হওয়ার সময় ৫০/৬০জন ছিলেন। সে ডুবে যাওয়া ট্রলার হতে ভেসে উঠলে অন্য একটি ট্রলার তাকে নদী হতে তুলে নিয়ে আসে তার স্বামী রানাকে খুজেঁ পাচ্ছেন না। এ ব্যাপারে অপর যাত্রী শাকিল বলেন, আমরা যখন ট্রলার দিয়ে পার হচ্ছিলাম তখন বাল্কহেডটিও আসছিল। ট্রলার চালক ও আমরা বারবার চিল্লাইয়া বলতেছিলাম এদিকে ট্রলার কিন্ত সে কিছু না শুনে আমাদের ট্রলারের উপর দিয়ে বাল্কহেড তুলে দেয় আমরা ৫০ থেকে ৬০জন তলিয়ে যাই।এ ব্যাপারে টঙ্গিবাড়ী থানা ওসি রাজিব খান বলেন, বাল্কহেড ডুবির ঘটনায় দুই জন মারা গেছে। ঘাতক বাল্কহেডটিকে আটক করা হয়েছে। তবে বাল্কহেডের চালকসহ অন্যান্যরা পালিয়ে গেছে। এখোন পর্যন্ত কেউ নিখোঁজ আছে বলে আমাদের কোন স্বজনরা বলেনি।