তরুণদের সামনে আনতে হবে। তারাই হাল ধরবে বিজেপির। লোকসভা নির্বাচন সামনে রেখে এবারও ২০১৯ সালের সেই পথেই হাঁটছে ভারতের ক্ষমতাসীন দলের দণ্ডমুণ্ডের কর্তা মোদি-শাহ জুটি। আগেরবারের মতোই দলের প্রবীণ নেতাদের বাতিল খাতায় ফেলবেন এবারও। ‘কপাল পোড়া’ এই গুঞ্জনের আঁচেই গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে দলের বর্ষীয়ান নেতাদের! শুধু বয়স্করাই নন, হিসাবের খাতা থেকে ঝরে পড়তে পারে আরও কয়েক ডজন এমপিও। রোববার সেই খবরই পাওয়া গেছে আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে। এখনো ৭৫ বছর না হলেও এবার লোকসভা নির্বাচনে রাজনাথ সিংহ, নিতিন গড়কড়ীর মতো প্রবীণদের মধ্যে কারা কারা বাদ পড়বেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তালিকায় ছিল প্রথম সারির অনেক নেতার নামও। গত লোকসভা নির্বাচনে লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলীমনোহর জোশী, সুমিত্রা মহাজনেরা বিজেপির প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ পড়েছিলেন। নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহের বিজেপি এবারও অন্তত ১০০ জন সংসদ-সদস্যকে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার কথা ভাবছে। শুক্র ও শনিবার বিজেপির জাতীয় পদাধিকারীদের বৈঠকের পরে বিজেপি সূত্রের খবর, বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব লোকসভা নির্বাচনে দলের প্রার্থীদের গড় বয়স ৫৫ বছরে কমিয়ে আনার পরিকল্পনা করছে। ব্যতিক্রম অবশ্যই কেউ কেউ থাকবেন। হেমা মালিনী শারীরিকভাবে অনেকের তুলনায় ‘ফিট’ হলেও ৭৫ বছর ছুঁয়ে ফেলেছেন। মথুরা থেকে আর তাকে প্রার্থী করা না-ও হতে পারে। একইভাবে আগামী বছর যারা ৭৫ বছরে পা দেবেন, তারাও বাদ পড়বেন। যেমন প্রয়াগরাজের এমপি রীতা বহুগুণা জোশী। বাদ পড়তে পারেন গান্ধী পরিবারের দুই সদস্য মেনকা ও তার পুত্র বরুণ গান্ধীও। বিজেপি শিবিরের বক্তব্য, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের সময়েও বিভিন্ন রাজ্যের প্রায় ১০৪ জন সংসদ-সদস্য বাদ পড়েছিলেন। এবারও শ\' খানেক সংসদ-সদস্যের নাম বয়স ও কাজের নিরিখে বাদ পড়ার লাল খাতায় থাকছে। যেসব এমপি বহু বছর ধরে জিতে আসছেন, সেখানেও মুখ বদল করা হবে।