আ.লীগের ত্যাগী নেতারা নীরবে-নিভৃতে চোখের পানি ফেলছেন: ফজলুর রহমান

প্রকাশিতঃ জানুয়ারী ৩, ২০২৪ | ৬:০৬ অপরাহ্ন
অনলাইন নিউজ ডেক্স

বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান এক সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সেক্রেটারি ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি জনপ্রিয় বক্তা হিসেবে সব মহলে পরিচিত। দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে অবহেলার শিকার হয়ে পরবর্তীতে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগে যোগ দেন। ২০০১ সালে বিএনপিতে যোগ দিয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা শাখা সভাপতি পদ পান। বর্তমানে তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হয়েছেন তিনি। সম্প্রতি বিশেষ সাক্ষাৎকারে বিএনপিতে এসে মূল্যায়নের বিষয়ে জানতে চাইলে অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান বলেছেন, আমি যে ঘরটা সৃষ্টি করলাম, সেটা ছেড়ে যখন আরেক ঘরে যাব, তখন তো সেই ঘরের আমি অতিথি। সেখানে আমাকে মেনমানদারি করবে কেমন তারাই (বিএনপি) জানে। এটা তো আমি বলতে পারব না। ডাল, না ভর্তা দিয়ে ভাত খাওয়াবে এটা তাদের ব্যাপার। তিনি বলেন, আমি কোনো লোভে দল পরিবর্তন করিনি। আমি যখন বিএনপিতে যোগ দিয়েছি, তখন কেউ বিএনপি করত না। আমি কিন্তু সরকারি দলে থাকাকালীন বিএনপিতে যায়নি। আমি শুধু দল পরিবর্তন করিনি, বাংলার প্রধান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও দল পরিবর্তন করেছেন। কেউ যদি আমার সঙ্গে চ্যালেঞ্জ করে, সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে রাজি আছি। আমি দল পরিবর্তন করেছি কিন্তু আমার যে চেতনা স্তর সেটাতে সঠিক আছি। কোনো দিন সেখান থেকে সরব না। আমার চেতনাস্তর আদর্শস্তর ঠিক আছে। আমি দল পরিবর্তন করেছি, অবস্থা ও প্রয়োজনের পরিপ্রেক্ষিতে। আমার সঙ্গে ১৯৭৫-এর পর যারা ছাত্ররাজনীতি করেছে, এখন কেউ আওয়ামী লীগ করে না। কেউ নেই দলে। গুটিকয়েক আছে, যারা আওয়ামী লীগ করেন। তবে তারা কেমন আছেন? তারা আছেন নীরবে, নিভৃতে পড়ে আছেন। কেউ তাদের খোঁজ নেয় না। তারা নীরবে-নিভৃতে চোখের পানি ফেলেন। যেদিন আমাদের মতো ব্যক্তিদের অস্তিত্ব হবে, বাংলাদেশে যেদিন ফজলুর রহমানদের অস্তিত্ব তৈরি হবে, সেদিন ১০ লাখ মানুষ ফজলুর রহমানকে অভিনন্দন জানাবে। এটা চ্যালেঞ্জ করে বলে দিলাম। বর্তমান আওয়ামী লীগ ক্ষমতার জন্য ৫টি প্রজন্মকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তিনি বলেন, আমাকে একজন আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা বলেছেন— তার মতো আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতার চেয়ে রাজাকারের দুটা ছেলের দাম বেশি। একটা হলো— স্বাধীনতাবিরোধী ফজলুর রহমানের ছেলে সালমান রহমান। আরেকটা হলো— ফারুক খান। তিনি রাজাকার সালাম খানের ভাতিজা। তাদের যে পাওয়ার আমার মতো ৫০০ নেতারও এত পাওয়ার নেই। তিনি আরও বলেন, ওবায়দুল কাদেরের কথা শুনে মনে হয় হায়রে দেশ। দেশটাকে সৃষ্টি করেছিলাম এ ধরনের নেতার জন্য? এরা তো কোনো সত্য কথা বলে না। এদের বিবেক নেই।