আ.লীগের নেতা-কর্মী ও মুক্তিযোদ্ধাদের নির্দেশে আমি প্রার্থী হয়েছি : কামারুল

প্রকাশিতঃ জানুয়ারী ৩, ২০২৪ | ৬:২৯ অপরাহ্ন
অনলাইন নিউজ ডেক্স

কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনের ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী কামারুল আরেফিন বলেছেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ভেড়ামারা-মিরপুরের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নির্দেশে, মুক্তিযোদ্ধাদের নির্দেশে আমি প্রার্থী হয়েছি। তিনি বলেন, ‘আমি প্রার্থী হয়েছি আপনাদের মুখের দিকে তাকিয়ে, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মুখের দিকে তাকিয়ে, অনেক কর্মীদের অসহ্য যাতনার ভিতর দিকে তাকিয়ে।’ গত (১ জানুয়ারি) সোমবার রাতে ভেড়ামারা বাসষ্ট্যান্ড, বারোমাইল ও মসলেমপুরে পৃথক নির্বাচনী পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। ইনুকে উদ্দেশ্য করে কামারুল বলেন, ‘উনি নৌকা নিয়ে নির্বাচন করেন, এমনভাবে নৌকার জিকির তোলেন, তার মুখ দিয়ে খালি নৌকা উচ্চারিত হয়। কিন্তু ভোটের পরের দিনই উনি মশাল হয়ে যান। উনি হাসানুল হক ইনু তখন ১৪ দলের জোটে থাকেননা। তখন একটাই দল থাকে, খেয়ে দেয়ে শোধ- তার নাম জাসদ।’ তিনি আরো বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনে উনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছেন, আমরা দাঁড়াই নাই। ১৮ সালের নির্বাচনে নেত্রী হুকুম দেন নাই, আমরা দাঁড়াই নাই। আমরা শুধু প্রতিবাদ করেছিলাম, ভোট দেবনা। তারপরে জননেত্রীর নির্দেশে মাহবুবউল আলম হানিফ সাহেবের বাড়িতে বসে নাকে খত দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে ওয়াদা করে উনি ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন, আড়াইদিনের ব্যবধানে তাকে আমরা বিপুল ভোটে জিতিয়েছিলাম।’ কামারুল বলেন, ‘উনি জিতলেন, শেষ রাত্রে আবার সেই নৌকা উনার কাছে কাগজের নৌকা হলো। চাঁদগ্রামের সিদ্দিক মন্ডল ও সঞ্জয় প্রামানিককে হত্যার মাধ্যমে উনি প্রমাণ করে দিলেন, উনি জাসদের লোক, আওয়ামী লীগের লোক না। আমি শুধু নৌকা নিয়ে ভোটের জন্য আসি।’ এসময় ভেড়ামারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আক্তারুজ্জামান মিঠু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব শামিমুল ইসলাম ছানাসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের কয়েক হাজার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।