বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি হামিদুল হক মিলনের বিরুদ্ধে সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে স্ত্রী বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী (তবলা মার্কা) শাহাজাদী আলম লিপির পক্ষে প্রচার চালানোর অভিযোগ উঠেছে। বুধবার ওই আসনের নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ শাহনাজ পারভীন নোটিশে তাকে বৃহস্পতিবার বিকালে সশরীরে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। ওই নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২ জানুয়ারি দৈনিক বগুড়া অনলাইন পত্রিকায় সংবাদের মাধ্যমে গোচরীভূত হয়েছেন যে, আপনি হামিদুল হক মিলন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশে অতিরিক্ত ডিআইজি হিসেবে কর্মরত আছেন। আপনি আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহাজাদী আলম লিপির স্বামী। আপনি একজন সরকারি কর্মকর্তা ও চাকরি থেকে এক মাসের ছুটি নিয়ে এলাকায় আপনার স্ত্রী শাহাজাদী আলম লিপির পক্ষে নির্বাচনি প্রচারণা চালাচ্ছেন। আপনার প্রশাসনিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে পুরো নির্বাচনি এলাকা বিপর্যস্ত করে রেখেছেন। এছাড়া নির্বাচনি প্রচারণায় সরকারি গাড়ি ব্যবহার করছেন; যা আপনার পেশাগত অসদাচরণের পাশাপাশি সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। নোটিশে আরও বলা হয়েছে, ওই বিধির বিধানমতে কেন আপনার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনে সুপারিশ করা হবে না, তা ৪ জানুয়ারি বিকাল সাড়ে ৩টায় অনুসন্ধান কমিটির অস্থায়ী কার্যালয়ে সশরীরে হাজির হয়ে লিখিত জবাব/ব্যাখ্যা দাখিলের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো। জানা গেছে, বগুড়া-১ আসনে নৌকা মার্কার প্রার্থী বর্তমান এমপি সাহাদারা মান্নান গত ২৪ ডিসেম্বর রিটার্নিং অফিসার, জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলামের লিখিত অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহাজাদী আলম লিপির স্বামী সরকারি সুবিধাভোগী হামিদুল আলম মিলন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন)। শাহাজাদী আলম লিপি নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় জেনে তার ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা স্বামীকে প্রতিনিয়ত তাজুরপাড়ার বাসায় বসিয়ে রেখে তার পক্ষে কাজ করার জন্য সাধারণ ভোটারদের প্রভাবিত করছেন। তার ক্ষমতা প্রতিনিয়ত ব্যবহার করে চলেছেন। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনাপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়। এ প্রসঙ্গে রিটার্নিং অফিসার বলেন, তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। স্বতন্ত্র প্রার্থী লিপির স্বামী বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) হামিদুল আলম মিলন বলেন, বর্তমান এমপির অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।