অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগে নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জ-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কাবির মিয়া। সোমবার বিকালে মুকসুদপুরের কমলাপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি ভোটারদের আঙুলের ছাপ পরীক্ষা ও ভোট পুনঃগণনার জন্য নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে তিনি বলেন, তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আওয়ামী লীগের মুহাম্মদ ফারুক খানের কর্মী সমর্থকরা কেন্দ্র থেকে তার এজেন্টদের বের করে দেয়। এরপর তারা ওই সব ভোটকেন্দ্রের মধ্যে অবস্থান করে জাল ভোট দেয়। তাৎক্ষণিকভাবে এ ব্যাপারে প্রশাসন ও নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানানো হলেও তেমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বরং জাল ভোটারদের আটকের পর আবার তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কাবির মিয়া আরও বলেন, একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার পরও জনগণ আমাকে মুকসুদপুরের উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করেছিল। নির্বাচনী এলাকার জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী এবারো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি অংশগ্রহণ করি। আমার জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর লোকজন এসব অনিয়ম ও কারচুপির আশ্রয় নিয়েছে বলে আমি মনে করি। সংবাদ সম্মেলনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর চিফ এজেন্ট মো. ইকবাল মিয়াসহ কর্মী-সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।