ভোটে কারচুপির বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও যুবলীগ নেতা ওবায়দুর রহমান। ফল পাল্টে দেওয়ার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলার একপর্যায়ে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় তিনি ভোট পুনঃগণনারও দাবি জানান। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘৮৬ হাজার ৯১৩ ভোট পেয়ে প্রকৃতপক্ষে আমি জয়যুক্ত হয়েছি আর নৌকার প্রার্থী আবদুল ওয়াদুদ দারা ৮৩ হাজার ৮৬২ ভোট পেয়েছেন; যা বিভিন্ন টেলিভিশনেও দেখানো হয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে ফলাফল পরিবর্তন করে আমাকে পরাজিত ঘোষণা করা হয়।’ প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ওবায়দুর রহমান আরও বলেন, প্রিসাইডিং অফিসাররা পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছেন, তারাই কারচুপি করেছেন। তারা রুমের দরজা বন্ধ করে আমার এজেন্টদের বের করে দিয়ে নিজেরা ভোট দিয়েছেন। আমি নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুরোধ করছি আমার পুঠিয়া-দুর্গাপুরে পুনরায় ভোট গণনা করার জন্য। তাহলে জনগণের প্রকৃত রায় বেরিয়ে আসবে। নৌকার বিজয়ী প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তিনি বলেন, নৌকার সমর্থকরা নির্বাচনের পর আমার কর্মীদের মারধরসহ তাদের বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাট করে নিয়ে যাচ্ছে, প্রশাসনকে অভিযোগ দিলে তারা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। এটা এক অসহায় অবস্থা। চরম নৈরাজ্য চালানো হচ্ছে পুঠিয়া দুর্গাপুরজুড়ে। প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে ওবায়দুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে নির্বাচনকে উৎসবমুখর করার লক্ষ্যে আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। সেটা যদি আমার ভুল হয় তাহলে আমাকে ক্ষমা করবেন অথবা আমাকে সাজা দিন। দয়া করে আমার উপর আস্থাশীল জনগণকে রক্ষা করুন। আগের দিন রাজশাহী-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম রাব্বানী ও রাজশাহী-৬ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী রাহেনুল হক ভোটে কারচুপির অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেন। এছাড়া রাজশাহী-৪ আসনের পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী এনামুল হক ফল প্রত্যাখ্যান করে পুনঃতফসিলের দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছেন। তবে রাজশাহীর রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেছেন, ভোটে কোনো ধরনের কারচুপি হয়নি। নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে রাজশাহীতে।