বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, আগামী ২৬ ও ২৭ জানুয়ারি বিএনপির পূর্বঘোষিত কর্মসূচি কালো পতাকা মিছিলে হামলার হুমকি এসেছে। তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারির ভোট বর্জনের আহ্বানে লিফলেট বিতরণের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পর্যন্ত এই সরকার বাধা দিয়েছে। এখন এই সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ স্বরূপ কালো পতাকা মিছিল কর্মসূচি দিয়েছি। এটি একটি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি; কিন্তু হুমকি এসেছে যে আবারো রাজপথে কালো পতাকা মিছিল করলে নাকি গত ২৮ অক্টোবরের মতো আমাদের ওপর ক্র্যাকডাউন করা হবে। আমরা কোন দেশে বাস করছি? সোমবার দুপুরে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ‘নব্য বাকশালের মূলোৎপাটনে শহীদ জিয়ার রাষ্ট্রদর্শন’ শীর্ষক ওই সভার আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)। মঈন খান বলেন, মানুষের ঐক্য ও ন্যায়ের শক্তির কাছে বন্দুকের শক্তি টিকতে পারে না। সুতরাং সরকারকে বলব- গণতন্ত্রের পথে এসে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দিন। না হলে পরিণতি ভালো হবে না। গুলি, বন্দুক ও টিয়ারগ্যাস দিয়ে মানুষকে পরাভূত করা যাবে কিন্তু জনগণের ভালোবাসা পাওয়া যাবে না। তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি; যা বিশ্বের সব গণমাধ্যমে বলা হয়েছে। তবুও সরকার বুঝতে পারছে না যে, তাসের ঘরের মতো তারা কখন ধসে যাবে! মঈন খান বলেন, আমরা নব্য বাকশাল তথা বাকশাল-২ এর পদ্ধতির মূলোৎপাটন করতে চাই। এখন তো কথা বলার সময় না। এখন আমাদের প্রতিবাদ করার সময়। আমরা গত ১৫ মাস ধরে লাগাতার কর্মসূচি পালন করে আসছি। মঈন খান বলেন, বিশ্বের প্রভাবশালী গণমাধ্যম বাংলাদেশের বর্তমান ব্যবস্থাকে উত্তর কোরিয়া মডেল আখ্যা দিচ্ছে। আর সরকার বলছে তারা নাকি বাংলাদেশকে বিশ্বে রোল মডেল বানিয়েছে! সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার চায় এ দেশের কেউ যেন তাদের সমালোচনা না করে। আমরা চাই বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে। মানুষের ন্যায়ের শক্তির কাছে বন্দুকের শক্তি টিকতে পারে না। সংগঠনের মহাসচিব অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খানের সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে ও সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক নূরুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী, ইউট্যাবের সহসভাপতি একেএম মতিনুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবুল কালাম সরকার, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সমন্বয়ক ড. তৌফিকুল ইসলাম মিথিল, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আতাউর রহমান প্রমুখ।