শালিখায় কনকনে শীতে ভোগান্তিতে নিম্ন আয়ের মানুষ

প্রকাশিতঃ জানুয়ারী ২৪, ২০২৪ | ৪:৫৯ অপরাহ্ন
মোঃ কুতুবুল আলম শানু, শালিখা উপজেলা প্রতিনিধি, মাগুরা

মাগুরার শালিখায় ঘন কুয়াশা ও শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। কনকনে ঠান্ডা আর ঘন কুয়াশার কারণে রোদের তাপ তেমন নেই। তীব্র শীতে গরম কাপড়ের অভাবে কষ্ট পাচ্ছে গরিব অসহায় হতদরিদ্র মানুষগুলো। সকালে কনকনে শীত ও ঘনকুয়াশার কারণে বোরো ধান রোপনে কৃষি শ্রমিকেরা কাজ করতে পারছে না। দূর থেকে আসা অনেকেই কাজ না করে ফিরে যাচ্ছেন।এদিকে প্রচন্ড ঠান্ডায় বৃদ্ধ ও শিশুদের মধ্যে সর্দিজ্বর, আমাশয়, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। বেড়েছে ভাসমান মানুষের দুঃখ কষ্ট। ভূমিহীন ও ফুটপাতে শুয়ে যাদের জীবন কাটে তাদেরকে এই হিমশীতে মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কনকনে ঠান্ডায় কষ্ট পাচ্ছে শিশু থেকে বৃদ্ধ। মাঝেমধ্যে রোদের দেখা মিললেও হিমেল হাওয়ায় হাড় কেঁপে উঠছে। বেলা করে কুয়াশা থাকায় প্রতিদিন তাপমাত্রা কমছে। দিনের বেলাও থাকছে প্রচন্ড শীত। সন্ধ্যা হলেই বাড়ছে শীতের প্রকোপ। শীতের কারণে গরম কাপড়ের চাহিদা বেড়েছে। ফুটপাত থেকে শুরু করে ছোট বড় মার্কেট ও শপিংমল গুলোতে চাদর, কম্বল, জ্যাকেট,সোয়েটার,কার্ডিগান,হাতমোজা,কানটুপিসহ বিভিন্ন ধরনের গরম কাপড় বিক্রি বেড়েছ কয়েকগুণ। বিত্তবানরা ছুটছেন শহরের বড় বিপণী বিতানগুলোয় আর নিম্ন আয়ের মানুষ গরম কাপড় কিনতে দোকানে ভিড় করছে। উপজেলার আড়পাড়া বাজারের দারোগা মার্কেটের গার্মেন্টস কাপড় ব্যবসায়ী উত্তম সাহা জানান, অন্য সব কাপড় বিক্রি কম হলেও শীত বেড়ে যাওয়ায় বেড়েছে গরম কাপড়ের চাহিদা। আড়পাড়া বাজারের ঈদগা পুরাতন মার্কেটে ফুটপাতের ভাসমান ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম জানান, শীতের শুরুতে বিক্রি কম হলেও শীতের কারনে গরম কাপড়ের ব্যবসা জমে উঠেছে। ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০ টাকা পর্যন্ত দামে শীতের কাপড় বিক্রি হচ্ছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বেচাকেনা হচ্ছে। তিনি জানান, নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ক্রেতায় বেশি ভিড় জমাচ্ছেন। সেই সাথে ভ্যানচালক সহ অসহায় শীতার্ত মানুষও কম দামে শীতবস্ত্র ক্রয় করছেন। পুরাতন এ সকল শীতের কাপড় কিনতে মানুষের ভিড় দেখেই বোঝা যায়,শীত কতটা তীব্র আকার ধারণ করছে। এব্যাপারে আইন ও অধিকার বাস্তবায়ন ফোরাম এর অন্যতম পরিচালক ও শ্রীইন্দ্রনীল এ্যান্ড এ্যাসোসিয়েটস এর প্রধান সংগঠক শিক্ষক ও গবেষক শ্রীইন্দ্রনীল বিশ্বাস জানান, এখন মৃদু শৈত্য প্রবাহ চলছে, উত্তর ও পশ্চিম দিকের হিম শীতল বাতাস বইছে। এই সময়ে কিছু বিরতি দিয়ে ঠান্ডা হাওয়া বইতে থাকে। অসহায় হতদরিদ্র মানুষগুলো শীতে খুবই কষ্ট পাচ্ছে। এ সময় আমাদের তাদের পাশে দাঁড়ানো উচিত বলে আমি মনে করি। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.সাইমুন নেছা জানান,তীব্র শীতের কারণে মানুষের সর্দিজ্বর,কাশি,নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট,আমাশয় রোগ দেখা দিতে পারে।এজন্য হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবার পাশাপাশি সাধারণ নাগরিকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। শালিখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হরেকৃষ্ণ অধিকারী বলেন, অসহায় শীতার্থকদের জন্য শীতবস্ত্র (কম্বল) এসেছে সেগুলি আমাদের ৭টি ইউনিয়ন পরিষদে আছে। পরিষদের চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে।