জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেছেন, সম্পূর্ণ অযৌক্তিকভাবে এ সময়ে চালের দাম বাড়ানো হয়েছে। আইন মেনে ব্যবসা না করলে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বুধবার রাজধানীর কারওয়ানবাজার অধিদপ্তরের কার্যালয়ে আসন্ন রমজান উপলক্ষে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন। সফিকুজ্জামান বলেন, আগে ধানের দাম কম ছিল। এখন হয়ত ধানের দাম কেজিতে দুই টাকা বেড়েছে। অথচ সেই আগে কেনা ধানের চাল বাড়তি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। আর ধানের দুই টাকার বিপরীতে চালের দাম বাড়ানো হয়েছে ৮-১০ টাকা। এ সময় অধিদপ্তরের পরিচালক (কার্যক্রম ও গবেষণাগার) ফকির মুহাম্মদ মুনাওয়ার হোসেন, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন, কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) কোষাধ্যক্ষ ড. মঞ্জুর-ই-খোদা তরফদার, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক মোহাম্মদ এনায়েত উল্লাহ, ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের প্রতিনিধি, এনএসআইর প্রতিনিধি, ডিজিএফআইর প্রতিনিধি, মৎস্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। ব্যবসায়ী নেতাদের উদ্দেশে ভোক্তার মহাপরিচালক সফিকুজ্জামান বলেন, আপনারা বাজার কমিটির নেতা হয়েছেন। আমি বিশ্বাস করি না যে, কোনো প্রভাব ছাড়াই নেতা হয়েছেন। আপনাদের ইলেকশনে আমি জানি কত টাকা খরচ করেন। এক কোটি টাকা খরচ করে নেতা হয়ে দুই বছরে পাঁচ কোটি টাকা লাভ করতে হবে, এই চিন্তাধারা ভুলে যেতে হবে। যে বাজার কমিটিকে দেখব কারসাজির সঙ্গে জড়িত- সেই কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করব। ভোক্তার মহাপরিচালক বলেন, রমজানে ছোলা, ডাল, তেল, খেজুর এ ধরনের পণ্যের চাহিদা বেড়ে যায়। অন্য সময়ে তেল-চিনির চাহিদা থাকে দেড় লাখ টন; কিন্তু রমজানে এর চাহিদা তিন লাখ টন হয়ে যায়। রমজানে পণ্যের সাপ্লাই চেইন ধরে রাখা একটা চ্যালেঞ্জ। এ সময় কোনো অনিয়ম হলে আইনের আওতায় আনা হবে। বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, রমজান মাস একটা স্পর্শকাতর মাস। ভোক্তা চায় কম দামে দ্রব্য কিনতে, আবার ব্যবসায়ীরা চায় একটু লাভ করতে। মিল মালিক চালের দাম ২ টাকা বাড়িয়েছে। কেন উনি ২ টাকা বাড়ালেন? এর প্রভাবে বাজারে এসে ৮ টাকা হয়। যারা এ কাজ করে তাদের নজরদারিতে আনতে হবে।