দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে শুধু ‘হুমকি ধমকি’ নয়, কার্যকর ‘অ্যাকশন’ নেওয়ার পক্ষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তার ভাষায়, নতুন সরকারের সামনে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হল মূল্যস্ফীতি কমানো। রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সোমবার দুপুর এক সংবাদ সম্মেলনে দ্রব্যমূল্য নিয়ে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণ– এ বিষয়টা চ্যালেঞ্জ। সংসদে যারা, তারা জনগণের প্রতিনিধি। এ সমস্যাগুলো এখন জনগণের নিত্যদিনের সমস্যা। কাজেই প্রথম চ্যালেঞ্জ এখন এটাই। ব্যবসায়ীরা দাম নিয়ন্ত্রণে দেওয়া কথা রাখবে কিনা– এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা কথা রাখবে, মিষ্টি কথায় তো চিঁড়ে ভেজে না। কথা যেভাবে বলতে হয়, সেভাবেই বলতে হবে আমাদের। যে অ্যাকশনের দরকার, সে অ্যাকশন নিতে হবে। শুধু হুমকি ধমকি দিয়ে সমস্যার সমাধান হবে না। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে সাধারণ মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ। বছরজুড়েই মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ এর কাছাকাছি, তাতে সবচেয়ে বেশি ভুগতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর কোনো কারণ ছাড়াই বেড়ে গেছে চালের দাম, যা নিয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দ্রব্যমূল্য কমিয়ে কীভাবে মানুষের নাগালের মধ্যে রাখা যায়, তার উপায় খুঁজতে নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকেই নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। সোমবারের ব্রিফিংয়ে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সেই প্রসঙ্গ ধরে বলেন, এখানে অ্যাকশন নিতে হবে, কৌশল অবলম্বন করতে হবে। কারণ আমাদের দেশের যে বাস্তবতা, সবকিছু ডান্ডা মেরে ঠান্ডা করা যায় না। কিছু কিছু কৌশলেও যেতে হবে এবং সেটা উপলব্ধি করতে হবে। মন্ত্রিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, কথায় কথায় কাউকে ধমক দিলে সমস্যা সমাধান হবে না। আমাদের পজিটিভ অ্যাকশনে যেতে হবে। যারা এর জন্য দায়ী তাদের বিরুদ্ধে পজিটিভ অ্যাকশনে যেতে হবে।