অবশেষে সুখবর দিল আবহাওয়া অফিস। আজ সারা দেশে তাপমাত্রা বাড়বে। এতে অনেকটাই কেটে যাবে শৈত্যপ্রবাহ। কমে আসবে ঘন কুয়াশা। তবে খুলনা বিভাগ ও ফরিদপুর অঞ্চলের দুই-এক জায়গায় আজ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া বুধবার খুলনা, ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিভাগের বেশকিছু জায়গায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, শৈত্যপ্রবাহের বড় কোনো পূবার্ভাস নেই। আজ ও আগামীকাল তাপমাত্রা বাড়বে। তবে সামান্য দু-এক জায়গায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ থাকতে পারে। ধীরে ধীরে এটিও কেটে যাবে। এদিকে মৌসুমের শেষভাগে শীতে দারুণ কষ্টে ছিলেন উত্তরাঞ্চলের অধিকাংশ এবং দক্ষিণের কিছু এলাকার মানুষ। শৈত্যপ্রবাহের কারণে কনকনে শীত এবং ঘন কুয়াশায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়। সোমবার দেশের সর্বনিু তাপমাত্রা ছিল দিনাজপুরে ৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, রাজশাহী, ঈশ্বরদী, বগুড়া, রংপুর, সৈয়দপুর, পঞ্চগড়, হবিগঞ্জ এবং বরিশালে শৈত্যপ্রবাহ ছিল। এসব এলাকার সর্বনিু তাপমাত্রা ছিল ১০ ডিগ্রির নিচে; যা সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা দারুণভাবে ব্যাহত করে। আবহাওয়া অফিস আরও জানায়, দিন ও রাতের তাপমাত্রার ব্যবধান ৫ শতাংশের নিচে থাকলে তীব্র শীত অনুভূত হয়। সোমবার পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চলসহ কিছু এলাকার দিন ও রাতের তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রির নিচে নেমে এসেছিল। সেসব জায়গায় আজ কিছুটা স্বস্তি ফিরবে। এদিকে সোমবার ঢাকায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। আজ আরও বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। এতে শীত কমবে। রাজধানীতেও গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। এতে কুয়াশা কেটে যেতে পারে। আবহাওয়া অফিসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এছাড়াও উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিত অংশ অবস্থান করছে উত্তর বঙ্গোপসাগরে। এর প্রভাবে কিছু অঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে আসছিল। আজ থেকে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও চলতি মৌসুমেই আরও একদফা শীত পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর- দিনাজপুর : দিনাজপুরে দুদিন ধরে দিনের বেলায় সূর্যের তাপ কিছুটা বাড়লেও অব্যাহত রয়েছে শৈত্যপ্রবাহ। বিকাল হলেই অনুভূত হচ্ছে তীব্র শীত। তবে দিনে সূর্যের প্রখরতা বাড়ায় মানুষের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে। শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্য। সূর্য দেখে ঘরে জমানো কাপড়, লেপ-তোশক রোদে দিয়েছে মানুষ। রোদের দেখা পেয়ে আনন্দিত কৃষকও। সদর উপজেলার নশিপুর গ্রামের কৃষক হাফিজউদ্দীন বলেন, বোরো ধানের বীজতলা নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় ছিলাম। রোদের দেখা পাওয়ায় আর কোনো চিন্তা নেই। ঘন কুয়াশার কারণে দুশ্চিন্তায় ছিলেন আলুচাষিরাও। কুড়িগ্রাম : শৈত্যপ্রবাহের কারণে বিদ্যালয় বন্ধের সরকারি আদেশ উপেক্ষা করে কুড়িগ্রামের জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলার নির্দেশ দিয়েছেন। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে থাকলেও বিদ্যালয় খোলা রাখাকে ইতিবাচক হিসাবে দেখছেন কর্তৃপক্ষ। তবে জেলার বারো শতাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে।