নড়াইলে স্কুল ফাঁকি দিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত থাকাসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার চরবালিদিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে। উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি জানান, গত ২৩ জানুয়ারি এসব অভিযোগ তুলে ওই শিক্ষকের বদলি চেয়ে বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ করেছেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির একাংশ ও এলাকাবাসী। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. মোশাররফ হোসেন বিদ্যালয় চলাকালীন তার সরকারি দায়িত্ব পালন না করে হোমিও ও অ্যালোপ্যাথিক ওষুধের ব্যবসা এবং মোবাইল এজেন্ট ব্যাংকিং কাজে ব্যস্ত থাকেন। শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও খেলাধুলাসহ আত্ম-উন্নয়নমূলক কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেন না। স্কুল ম্যানেজিং কমিটি ও অভিভাবক এবং গ্রামের সচেতন মহল তাকে বারবার অনুরোধ করলেও তিনি বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত সময় দেন না। বিগত ১৫ বছর ধরে তিনি বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেননি বরং বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজ ব্যহত করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হয়েছেন৷ এ ব্যাপারে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি বাবর আলী বলেন, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত যে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে তা সত্য। অতিদ্রুত ওই শিক্ষককে বদলি করা হোক। অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত শিক্ষক মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, বিদ্যালয় চলাকালীন আমি অন্য কোনো কাজ করি না। কারও কাছে হয়তো আমি অপ্রিয় হতে পারি, সেই জন্য অভিযোগ দিয়েছে৷ নড়াইল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এ ব্যাপারে অভিযোগ লিখিত অভিযোগ পেয়েছি৷ তদন্ত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।