গঠনতন্ত্র পাশ কাটিয়ে নিজেকে সভাপতি ঘোষণা মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষের

প্রকাশিতঃ জানুয়ারী ৩০, ২০২৪ | ১০:০২ অপরাহ্ন
অনলাইন নিউজ ডেক্স

গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আমীর হোসাইন রাহাত গঠনতন্ত্র পাশ কাটিয়ে নিজেকে শিক্ষক সমিতির সভাপতি ঘোষণা করেছেন। মেডিকেল কলেজ নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও ডার্মাটোলজি বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. মনিরুজ্জামানকে সম্পাদক ঘোষণা করা হয়েছে। এতে সাধারণ শিক্ষকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। জানা গেছে, ডা. আমির হোসাইন রাহাত গত বছরের ডিসেম্বর মাসে গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন। এর আগে তিনি হাসপাতালের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অধ্যক্ষের দায়িত্ব নেওয়ার পর গত ৩১ ডিসেম্বর তার স্বাক্ষরযুক্ত কলেজের শিক্ষক সমিতির একটি কমিটি গত ২৩ জানুয়ারি শিক্ষকদের মেসেঞ্জার গ্রুপে প্রকাশ করেন। এ কমিটি প্রকাশ হওয়ার পর কলেজের শিক্ষক নেতা ও সাধারণ শিক্ষকরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রেডিওলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. সুশান্ত কুমার সরকার অভিযোগ করেন, শিক্ষক সমিতির কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা না করে অধ্যক্ষ নিজেকে সভাপতি দেখিয়ে কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় শিক্ষক সমিতির কমিটি প্রকাশ করেন। প্রকাশ্যে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কেউ মুখ না খুললেও নিজেদের মধ্যে সমালোচনার ঝড় বইছে। এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করলে কাউকে কাউকে হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তবে অধ্যক্ষ জানান, আগে যারা এ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন তারা যেভাবে কমিটি করেছেন তিনিও সেভাবেই করেছেন। শিক্ষক নেতারা অভিযোগ করেন, সংগঠনের একটি খসড়া লিখিত গঠনতন্ত্র থাকলেও সেটি পাশ কাটিয়ে অধ্যক্ষ নিজেকে সভাপতি ও তার পছন্দের ব্যক্তিদের নিয়ে শিক্ষক সমিতির কমিটি গঠন করেছেন। এখন এ কমিটির ব্যানারে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। তারা আরও অভিযোগ করেন চিকিৎসকদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে অ্যাডমিন থাকলেও কমিটির প্রতিবাদ করায় একজনকে বাদ দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ ডা. আমির হোসাইন রাহাত জানান, ২০১৭ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মেডিকেল কলেজের একটি কমিটি গঠন করা হয়। বেশ কয়েকজন শিক্ষকের বদলিজনিত কারণে কয়েকটি পদ শূন্য হওয়ায় ওই পদগুলো পূরণ করে শিক্ষক সমিতি পুনর্গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে নির্বাচনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন এবং এজিএমের মাধ্যমে গঠনতন্ত্র অনুমোদন করা হবে। সেই কমিটিতে তিনি সভাপতি হিসেবে থাকবেন না।