দেশের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের উদ্যোগে নওগাঁর নিয়ামতপুরের সদর ইউনিয়ন পরিষদে আরও ১ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের মানুষও ছিলেন। নিয়ামতপুর উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় এ কম্বল বিতরণ করা হয়। কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন নিয়ামতপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বজলুর রহমান নঈম। উপস্থিত ছিলেন কালের কণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি ফরিদুল করিম, নিয়ামতপুর প্রতিনিধি তোফাজ্জল হোসেন, বসুন্ধরা গ্রুপ নিয়ামতপুর উপজেলার সাইড ম্যানেজার জাকির হোসেন, নিয়ামতপুর প্রজেক্ট সমন্বয়কারী রাসেল প্রমুখ। কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ বলেন, তীব্র শীতে যখন জনজীবন অতিষ্ঠ, ঠিক তখন উত্তরের জেলা নওগাঁর নিয়ামতপুরে শীতার্ত মানুষের জন্য শীতবস্ত্র নিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপ। তারা ধারাবাহিকভাবে নিয়ামতপুরে কম্বল বিতরণ করায় বসুন্ধরার মালিকের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এই সহযোগিতার ধারা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান তিনি। সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বজলুর রহমান নঈম বসুন্ধরা গ্রুপকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের এমন মহতী উদ্যোগের কারণে অসহায় ও দরিদ্ররা উপকৃত হচ্ছে। তিনি বলেন- বসুন্ধরার মতো সমাজের সব বিত্তবান নিজ নিজ অবস্থান থেকে এভাবে মানুষের পাশে দাঁড়ানো দরকার। নওগাঁর নিয়ামতপুর সদর ইউনিয়নে আশা বাসুদেবপুর গ্রামের বৃদ্ধা আকলিমা বলেন- বসুন্ধরার এটা কম্বল পানু বা। আতে অনেক আরাম পামু। ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ মকবুল বলেন, হামাকে বাড়ি এই এলাকাত। বসুন্ধরা থেকে কম্বল পানু। অনক খুশি বা। দোয়া করোচো আল্লাহ বসুন্ধরা মালিলক যেন যুগ যুগ ব্যাচে আখে। নেহেন্দা গ্রামের বাসিন্দা বৃদ্ধা আমেনা বেগম বলেন, বাবা হামাকে একানে কেউ কিছু লিয়ে আসে না। বসুন্ধরা লিয়ে আসিছে শিত্তির কম্বল। খুব খুশি বা। দোয়া করোচে অনেক। ধর্মপুর গ্রামের বাসিন্দা জনি বেগম বলেন, এত কষ্ট করো কেউ হামাকের কথা চিন্তা করে না। বসুন্ধরা হামাকের কথা চিন্তা করে কম্বল নিয়ে আসিছে। দোয়া করেচো বসুন্ধরার মালিক সুখে থাক।