প্রয়োজনে শুল্ক কমিয়ে চাল আমদানি করব: খাদ্যমন্ত্রী

প্রকাশিতঃ জানুয়ারী ৩১, ২০২৪ | ১১:২২ অপরাহ্ন
অনলাইন নিউজ ডেক্স

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, প্রয়োজনে শুল্ক কমিয়ে চাল আমদানি করবে সরকার। বুধবার বিকালে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, চালের বাজার ৯ মাস স্থির ছিল। করোনা অতিমারিতেও চালের দাম বাড়েনি। এখন বাড়ছে কেন-মিল মালিকদের কাছে এমন প্রশ্ন রাখেন তিনি। সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ধান-চালের মার্কেট কন্ট্রোল করে হাতেগোনা কয়েক জেলার ব্যবসায়ী। আমরা তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিচ্ছি। মিল মালিকদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, বিবেক জাগ্রত করুন। বেপরোয়া না হয়ে মানব সেবার ব্রত নিয়ে কাজ করুন। তিনি বলেন, কৃষক ধানের দাম বেশি পেলে খুশি হতাম। এখন বেশি দামে ধান বিক্রি হলেও কৃষকের লাভ হচ্ছে না। সুবিধা নিচ্ছে মজুতদাররা। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও উলে­খ করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, চালের বস্তায় মিলগেটে চালের দাম কত তা লিখতে হবে। সঙ্গে থাকতে হবে উৎপাদনের তারিখও। নতুন আইন করা হয়েছে। দ্রুত কার্যকর হবে। এ আইন কার্যকর হলে মিনিকেট নামের কোনো ধান-চাল থাকবে না। কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. এহতেশাম রেজার সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন ও খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন। খাদ্য সচিব বলেন, চালের দাম নিয়ে আমরা সজাগ আছি। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী কারসাজি করতে চাইলে সরকার আইন মোতাবেক কাজ করবে। এর আগে খাদ্যমন্ত্রী কুষ্টিয়ার খাজা নগরের দেশ অ্যাগ্রো, সুবর্ণা অটোরাইস মিল, আল্লাহর দান অটোরাইস মিল, স্বর্ণা অটোরাইস মিল ও রশিদ অটোরাইস মিল আকস্মিক পরিদর্শন করেন। এ সময় একটি মিলের গুদামে প্রায় ৪০০ টন ধানের মজুত খুঁজে পান মন্ত্রী। সুবর্ণা অটোরাইস মিলের মালিক জিন্নাহ আলম অন্য একটি মিলের গুদামে অবৈধভাবে এ ধান মজুত করেছিলেন। মন্ত্রীর নির্দেশে তাৎক্ষণিক গুদামটি সিলগালা করা হয়। এছাড়া একই ব্যক্তির মালিকানাধীন একটি আটা মিলের গুদামে ১৫০ টন গমের অবৈধ মজুত পেয়ে সেটিও সিলগালার নির্দেশ দেন মন্ত্রী। প্রায় প্রতিটি মিলেই কিছু না কিছু অসঙ্গতি খুঁজে পান তিনি। মন্ত্রী এ সময় সংশ্লিষ্ট মিল মালিকদের ভর্ৎসনা করেন। তিনি কুষ্টিয়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বাবুল হোসেনকেও ভর্ৎসনা করেন। মন্ত্রী খাদ্য নিয়ন্ত্রককে বলেন, ‘এসব অনিয়ম কেন এতদিন চোখে পড়েনি? সবকিছু যদি আমাকে দেখতে হয়, তাহলে আপনারা এখানে কী করেন?’