মাগুরার মহম্মদপুরে এই প্রথম তৈরি হচ্ছে পার্কিং টাইলস ও ইউনিপেভার (ঝিকঝাক) সলিড ইটসহ কংক্রিটের যাবতীয় সামগ্রী। কংক্রিটের এসব সামগ্রী তৈরি করে সাফল্য অর্জনের স্বপ্ন ভুলে চলেছেন ফাহাদস কংক্রিট ফ্যাক্টরির উদ্যোক্তা মো. ইমরান আলী। তিনি উপজেলা সদরের ধোয়াইল গ্রামের মো. বোরহান উদ্দীন মোল্যার ছেলে। ছাগল, গবাদি পশু কিংবা হাঁস-মুরগি পালন বা খামার বাড়ি তৈরি করে ব্যাপক সাফল্য অর্জনের কথা অনেক শোনা যায়। কিন্তু স্নাতকোত্তর শেষ করে চাকরির পেছনে না ছুটে টাইলস ও ইউনিপেভার সলিড ইট তৈরির কাজে লেগে গেছেন কেউ, এমনটি খুব একটা শোনা যায় না। শুধু তৈরিই করছেন না অর্থনৈতিকভাবে সাফল্যও অর্জন করেছেন তরুণ উদ্যোক্তা ইমরান। এছাড়াও তার কারখানায় রয়েছে ‘হলো ব্লক’ মেশিন, যে মেশিনের তৈরি করা প্রতিটি ইট স্থানীয়ভাবে তৈরি পাঁচটি সাধারণ ইটের সমান। ‘হলো ব্লক’ মেশিনের ইট দিয়ে কাজ করলে ব্যায় ও সময় উভয়ই কম লাগে বলে জানান ইমরান। জানা যায়, ৩২ বছর বয়সি বেকার যুবক ইমরান তারণ্যকে কাজে লাগিয়ে ৫৫ শতাংশ জমি লিজ নিয়ে তিন বছর আগে ২ হাজার মুরগি পালনের পাশাপাশি বিভিন্ন রকমের শাক-সবজি, ফলমূল চাষের জন্য গড়ে তুলেছিলেন খামার বাড়ি। সেই থেকে এলাকাবাসীর কাছে ইমরান সফল ব্যবসায়ী হিসেবে বেশ পরিচিত। তাকে দেখে এলাকার অনেকেই হাঁস-মুরগির খামার করে সফলতা অর্জন করেছেন। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে ইমরান তার একমাত্র ছেলে ফাহাদের নামে গড়ে তুলেছেন ফাহাদস কংক্রিট ফ্যাক্টরি। এই ফ্যাক্টরির মাধ্যমে সাফল্য অর্জনের স্বপ্ন দেখছেন তিনি। কংক্রিটের তৈরি সামগ্রী বাজারজাত করার লক্ষ্যে ধোয়াইল বাজারে ‘ফাহাদস কংক্রিট’ নামে শো-রুম করেছেন। তার শো-রুমে মাগুরার বিভিন্ন উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন এলাকার লোকজন এসে দেখছেন এবং অর্ডার করছেন। সব সময় নতুন কিছু করার স্বপ্ন দেখেন ইমরান। সেই স্বপ্ন থেকেই বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখে এবং শিখে পার্কিং টাইলস ও ঝিকঝাক সলিড ইট তৈরির কারখানা করেছেন তিনি। আর তার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে যে মানুষটি সর্বাঙ্গীন সহযোগিতা করেন তিনি তার সহধর্মিনী শিউলী ইসলাম মারিয়া। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ইমরান বছরে ২৬ হাজার ৫০০ টাকায় ৫৫ শতাংশ জমি লিজ নিয়ে গড়ে তুলেছেন ফাহাদস কংক্রিট ফ্যাক্টরি। এখানে রয়েছে ২২৫০ স্কয়ার ফিটের একটি ঘর, সেই ঘরে বসানো হয়েছে মেশিন। যেখানে ৫ জন শ্রমিক মনোরম পরিবেশে তৈরি করছেন পার্কিং টাইলস ও ইউনিপেভার (ঝিকঝাক) সলিড ইটসহ কংক্রিটের যাবতীয় সামগ্রী। এ বিষয়ে ইমরান বলেন, আমার স্বপ্ন ছিল সরকারি চাকরি করার। কিন্তু চাকরি পাইনি। পরে আমি স্বপ্ন দেখি নতুন কিছু করার। সেই ইচ্ছা থেকেই প্রাইভেট ফার্ম করার কথা ভাবি। এতে নিজের আয়ের পাশাপাশি অন্যের কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা হয়। আমার লক্ষ্য আরো অনেক দূর যাওয়ার।