দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন। ভবনের সামনের দেওয়ালেই প্রতীকী পুতুল। গলায় পরানো হয়েছে ফাঁসির দড়ি। পেছনে ক্ষিপ্ত কৃষকদের ভিড়। সবার মুখে মুখে বিক্ষোভের সুর। দাবি আদায়ে একত্রিত হয়েছেন ব্রাসেলসের ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্ট ভবনের সামনে। ক্রমবর্ধমান ব্যয়, সস্তা আমদানি, ট্যাক্স, মজুরি সব কিছুর প্রতিবাদে জড়ো হয়েছেন তারা। আন্দোলনের এক পর্যায়ে পার্লামেন্ট ভবনের সামনে ডিম ছুড়ে মারেন এক বিক্ষোভকারী। এমনকি টায়ারে আগুন ধরিয়ে দেন আরও কয়েকজন। এরপর পুলিশও পালটা আক্রমণে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে। পুলিশের একটি অনুমান অনুসারে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রাণকেন্দ্র ব্রাসেলসের প্রধান রাস্তাগুলো প্রায় এক হাজার ৩০০ ট্রাক্টর দ্বারা অবরুদ্ধ করা হয়েছিল। বিভিন্ন ব্যানারে কৃষকদের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে ব্রাসেলস। বেলজিয়াম এবং অন্য ইউরোপীয় দেশগুলোর কৃষকরা স্লোগান দেন, ‘আপনি যদি পৃথিবীকে ভালোবাসেন তবে যারা এটি পরিচালনা করেন তাদের সমর্থন করুন।’ একটি ব্যানারে লেখা ছিল: ‘কোনো কৃষক নেই, খাবার নেই।’ ব্রাসেলসের বাইরের একজন কৃষক কেভিন বার্টেন্স বলেন, ‘আপনি যদি দেখেন যে আমরা আজকে এখানে কত লোকের সঙ্গে আছি, এটি ইউরোপজুড়ে। আমাদের আশা আছে কর্তৃপক্ষ এটি বুঝবে কৃষিকাজ প্রয়োজনীয়।’ ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট রবার্টা মেটসোলা বলেছেন, ‘আপনারা, যারা কৃষকরা বাইরে আছেন আমরা আপনাদের দেখছি এবং শুনছি। উল্লেখ্য, ইতালি, স্পেন এবং ইউরোপের অন্যান্য দেশের কৃষকরাও এ বিক্ষোভে অংশ নেন।