আওয়ামী লীগকে ভুলের খেসারত দিতে হবে: নজরুল ইসলাম

প্রকাশিতঃ ফেব্রুয়ারী ৭, ২০২৪ | ৮:৩২ পূর্বাহ্ন
অনলাইন নিউজ ডেক্স

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার কোনো দিক দিয়ে সফল হতে পারছে না। এই সরকার অনেক ভুল করেছে। এজন্য তাদেরকে খেসারত দিতে হবে।’ মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীতে ১২ দলীয় জোটের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সম্প্রতি ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাতীয় পার্টির (জাফর) মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি জাকির হোসেনের কারামুক্তি উপলক্ষ্যে ‘কারামুক্তি আন্দোলনের শক্তি ও গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ছেই। আজকে প্রধামন্ত্রীকে বলতে হয়, চাঁদাবাজি বন্ধের জন্য। আসলে কোনো কিছুর ওপরই তাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। নির্বাচনেও তারা দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে ডামি প্রার্থী দিয়ে গণ্ডগোল লাগিয়েছে। আসলে পতনকালে এমন ভুল হয়।’ তিনি বলেন, ‘আমরা জনগণের সঙ্গে আছি এবং জনগণও আমাদের সঙ্গে আছে। আমাদের বিজয় অবশ্যম্ভাবী। খুব দ্রুত আমরা ফ্যাসিস্ট সরকারের হাত থেকে মুক্ত হব। যারা কারামুক্ত হয়েছেন তারা রক্তাক্ত বাঘ। তাদের পায়ে তো শিকল পড়ানো যাবে না। আন্দোলনও বন্ধ হবে না।’ সভায় জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার সভাপতির বক্তব্যে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নির্বাচনের নামে প্রহসন করেছে। জনগণ এটাকে মানেনি। আমাদের সংগ্রাম চলছে এবং চলবে।’ নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘সরকার যা ইচ্ছা তাই করতে পারে না। ৭ জানুয়ারি দেশে কোনো ভোট হয়নি। ওই ভোট আওয়ামী লীগকে ভেঙে দিয়েছে। এমনকি সেদিন দেশবাসী প্রমাণ করেছে যে, তারা নিরঙ্কুশভাবে এই সরকারকে ঘৃণা করে। অন্যদিকে সরকার বলছে, তারা নাকি বিএনপিকে নিয়ে নয়, দ্রব্যমূল্য নিয়ে চিন্তিত। কিন্তু সেটাতেও কিছু করতে পারেনি।’ জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, ‘আজকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পর জাতিকে বিভক্ত করতে ষড়যন্ত্র করছে। সরকারের ওপরে হাসি, কিন্তু ভেতরে লজ্জা। এর বিরুদ্ধে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে হবে।’ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাক সাইফুল হক বলেন, ‘দেশের জনগণ অনিরাপদ। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আকাশচুম্বি মূল্যে খেটে খাওয়া মানুষ দিশেহারা। আমরা এই অবস্থা চলতে দিতে পারি না। সরকারের পতন পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’ জাগপার সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী, গণফোরামের (মন্টু) সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, ন্যাশনাল পিপসল পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, গণঅধিকার পরিষদের (একাংশ) সভাপতি নুরুল হক নুর, গণঅধিকার পরিষদের (একাংশ) আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মসিউজ্জামান, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, ১২ দলের নেতাদের মধ্যে ইসলামি ঐক্য জোটের শওকত আমীন, কল্যাণ পার্টির শামসুদ্দিন পারভেজ, লেবার পার্টির (একাংশ) চেয়ারম্যান ফারুক রহমান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ চেয়ারম্যান মনসুরুল হাসান, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিমসহ কারামুক্ত নেতারা।