ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের দাপট চলছেই। তার মধ্যেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সম্প্রতি টাকার কার্লসনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়ে দিয়েছেন, ইউক্রেনে কতটা দাপট ধরে রেখেছে তার সেনাবাহিনী। এমনকি আমেরিকার বিতর্কিত দক্ষিণপন্থি সাংবাদিক টাকার কার্লসনের এই সাক্ষাৎকারে পোল্যান্ড ও লাটাভিয়ার মতো দেশ নিয়ে মস্কোর পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন পুতিন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক মঞ্চে রাশিয়ার সম্পর্ক ভালো নই অনেক দিন ধরেই। পুতিনের নানা পদক্ষেপ এবং মন্তব্য থেকেই সেটা স্পষ্ট হয়। সেই মার্কিন সাংবাদিককেই সাক্ষাৎকার দিয়েছেন পুতিন। রুশ নেতা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, পশ্চিমা বিশ্বের বোঝা উচিত যে, ইউক্রেন রাশিয়াকে হারানো অসম্ভব। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের দুই বছর পূরণ হতে চলেছে। সেই প্রেক্ষাপটে পুতিন এই সাক্ষাৎকার দিয়ে বসলেন। এ সময় রুশ নেতা বলেছেন, তার দেশে বন্দি ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের (মার্কিন গণমাধ্যম) সাংবাদিক ইভান গেরশকোভিককে মুক্তির বিষয়ে ‘ডিল’ সম্ভব। গেরশকোভিচকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে বন্দি করা হয়েছে। তবে সে অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল ও আমেরিকা। দুই ঘণ্টা ধরে চলা সাক্ষাৎকারে পুতিনের কাছে নানা প্রশ্ন ধেয়ে আসতে থাকে। তাকে প্রশ্ন করা হয়, ইউক্রেনের পর এবার কি পোল্যান্ড কিংবা লাটাভিয়ার মতো দেশে আক্রমণের ভাবনা রয়েছে তার? এর জবাবে পুতিনের সাফ কথা, পোল্যান্ড বা লাটাভিয়া আক্রমণে তাদের আগ্রহ নেই। পোল্যান্ডের বিষয়ে মুখ খুলে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, তাদের পোল্যান্ড হামলার ইচ্ছা নেই, তবে ‘একটি ক্ষেত্রে হতে পারে’, ‘যদি পাল্টা পোল্যান্ড হামলা করে, তাহলে…’। এযাবৎকালে বহু সাংবাদিকই পুতিনের সাক্ষাৎকার নিতে চেয়েছেন। তবে ক্রেমলিন বলছে, কার্লসনকে সাক্ষাৎকার দিতে পুতিন রাজি হয়েছেন এক কারণে। আর সেটা হলো- কার্লসনের ভাবনা-চিন্তা পুতিনের পছন্দ। এদিকে কার্লসনকে বহু পশ্চিমা মিডিয়া মনে করে যে, তিনি একপাক্ষিক খবর প্রকাশ করেন। তাছাড়া সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছের লোক কার্লসন। আর ট্রাম্পের সঙ্গে রুশ নেতার সখ্য রয়েছে বলেই মনে করা হয়।