যে কারণে রাশিয়াকে ন্যাটোভুক্ত দেশে হামলা করতে বললেন ট্রাম্প

প্রকাশিতঃ ফেব্রুয়ারী ১১, ২০২৪ | ৫:৩৭ অপরাহ্ন
অনলাইন নিউজ ডেক্স

বিতর্কিত মন্তব্য করে প্রায়ই আলোচনার কেন্দ্রে থাকেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এবারের মন্তব্যকে ‘আতঙ্কজনক’ হিসেবে অভিহিত করল হোয়াইট হাউস। শনিবার সাউথ ক্যারোলাইনায় এক নির্বাচনি সভায় যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম এই প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ন্যাটোভুক্ত যেসব দেশ প্রতিরক্ষা খাতে প্রয়োজনীয় অর্থ খরচ করবে না, সেসব দেশে যদি রাশিয়া হামলা চালাতে চায় তাহলে তার কোনো আপত্তি নেই। খবর দ্য গার্ডিয়ানের প্রসঙ্গত, সামরিক জোট ন্যাটোতে যেসব দেশ রয়েছে সেসব দেশকে তাদের জিডিপির দুই শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করতে হয়। মূলত সামরিক দিক দিয়ে নিজেদের শক্তিশালী থাকতে এমন নিয়ম করা হয়েছে। ট্রাম্প তার জনসভায় উপস্থিত সমর্থকদের জানান, একবার ন্যাটোর একটি ‘বড় দেশের’ নেতা তাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, রাশিয়া যদি তার দেশের ওপর হামলা চালায়। তাহলে সাহায্যের জন্য যুক্তরাষ্ট্র এগিয়ে আসবে কি না। জবাবে ওই নেতাকে তিনি বলেছিলেন, আপনি অর্থ দেননি, তাই আপনি অপরাধী। আমি আপনাকে রক্ষা করব না। এমনকি রাশিয়ার যা মনে চায় তা করতে তাদের আমি উদ্বুদ্ধ করব। আপনাকে অর্থ দিতে হবে। আপনাকে আপনার অর্থ পরিশোধ করতে হবে। ১৯৪৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ১২টি দেশ নিয়ে গঠিত হয় ন্যাটো জোট। যার বর্তমান সদস্য ৩১টি দেশ। এর লক্ষ্য ছিল সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের (বর্তমান রাশিয়া) আক্রমণ থেকে অন্যান্য দেশকে রক্ষা করা। এটির মূলনীতি হলো যদি জোটের কোনো দেশ হামলার স্বীকার হয় তাহলে সবাই একসঙ্গে লড়াই করবে। গত বছর এক প্রতিবেদনে জানা গিয়েছিল, ন্যাটের তৎকালীন ৩০ সদস্যের মধ্যে মাত্র ১১টি দেশ তাদের জিডিপির দুই শতাংশ সামরিক খাতে খরচ করেছে। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় হুমকি দিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র ন্যাটো থেকে বেরিয়ে যাবে। তবে গত মাসে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একটি সামরিক আইন করেন— যার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাটো জোট থেকে বের হয়ে যাওয়ার বিষয়টি কঠিন করে দেওয়া হয়েছে।